প্রয়োজনে খাদ্য বিভাগে শুদ্ধি অভিযান: খাদ্যমন্ত্রী

SHARE

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য কর্মকর্তাদের মনে যদি পোকা না থাকে তাহলে খাদ্য গুদামের চালে কখনই পোকা ধরবে না। তারা কৃষকের কাছ থেকে নামমাত্র ধান কিনে ফটোসেশন করেন। ফেসবুকে সেসব ছবি পোষ্ট করেন। খাদ্য বিভাগকে যে কোন মূল্যে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। সরকার প্রয়োজনে খাদ্য বিভাগের ভিতরে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করবে। বুধবার দিনাজপুরে তিনি এসব কথা বলেন।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বুধবার দুপুরে আমন সংগ্রহ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মোছা. নাজমানারা খানম, পরিচালক (সংগ্রহ) জুলফিকার রহমান, রংপুরের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবির, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি প্রমূখ।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে আশঙ্কাজনকহারে গমের আবাদ কমে যাচ্ছে। সরকারকে প্রতি বছর ৭ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করতে হচ্ছে। ধানের পাশাপাশি গমের আবাদ বাড়াতে হবে। ইতিপূর্বে যে সকল জায়গায় ধান উৎপাদন হতো না বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেই সকল জায়গায় ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কৃষকদের কষ্ট লাঘবে সরকার ধানের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করছে। দেশে বর্তমানে ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কারণে কৃষকরা প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের কর্মকান্ড কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক বাছাই করে তাদের কাছ থেকে ধান ও চাল ক্রয় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাল কেনা হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে আর বেশি চাল ক্রয় করা হবে।