এসেছে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ, আসছে আরো ৫০ হাজার টন

SHARE

পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে খুব শিগগির বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ খুব দ্রুত দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্থিরতা কাটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দু-চার দিনের মধ্যেই দাম কমবে। বাজার সহনীয় করতে এরই মধ্যে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ এসেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আরো ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

গতকাল ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানা গেছে, ভারত বাংলাদেশে ৯ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। বেঙ্গালোর থেকে এই পেঁয়াজগুলো আসবে। তবে শর্ত হিসেবে রপ্তানির জন্য চেন্নাই পোর্ট ব্যবহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্য দিয়ে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছিল এর কোনো হেরফের হবে না বলেও জানা গেছে। কারণ এই ৯ হাজার টন পেঁয়াজ বিশেষভাবে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের বাজারে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির খোলাবাজারে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি, বাজার অভিযানে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দামে। প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে একটু নিম্নমানের দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে।

রাজধানীর রামপুরা বাজারের মুদি দোকানি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পচা (নিম্নমানের) পেঁয়াজের দামও এখন ১২০ টাকা। আর ভালো দেশি পেঁয়াজ নিলে এক দাম ১৩০ টাকা পড়বে।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংবাদ সম্মেলনে অনেকটা রসিকতা করে বলেন, ‘পেঁয়াজ না খেলেই কী হয়। আমিও অনেক রান্না করছি, যেখানে পেঁয়াজ দেওয়া হয় না।’

তবে অনেক আড়তদার পেঁয়াজ মজুদ করে সংকট তৈরি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা পেঁয়াজ রেখে দিয়েছে তারা তো বাজার অস্থির করার জন্যই রেখেছে। তবে মজুদ তো বেশিদিন থাকবে না। পেঁয়াজ তো পচে যাবে।’

উল্লেখ্য, ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। গত মাসে এই ঘোষণা দেওয়ার পর রাতারাতি বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১২০-১৩০ টাকায় ওঠে। এর সপ্তাহখানেক পরই আবার পেঁয়াজের দাম কমতে থাকে। কমে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে এলে এক সপ্তাহ না যেতেই আবার পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকায় ওঠে। ১০০ টাকায় দু-তিন দিন থাকার পরই আবার বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। বাড়তে বাড়তে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৩০ টাকায়।