বোরকার পক্ষে ভিডিও বানিয়ে ইরানের প্রচারণা, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া

SHARE

ইরানে হিজাব সপ্তাহ পালনের অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে একটি ভিডিও প্রদর্শনের অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের ইসলামি বিপ্লবী সেনাবাহিনী। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বোরকা পরিহিত নারীকে সম্মান করছে একজন পুরুষ। তবে ওই ব্যক্তিই বোরকা না পরার কারণে এক নারীকে অসম্মান করছেন।

জানা গেছে, বাসিজ সাইবার স্পেস অর্গানাইজেশন ও ভিডিওটি তৈরি করেছে। সেই ভিডিওতে প্রথমে দেখা যায় বোরকা ছাড়াই এক নারী স্বর্ণের দোকানে প্রবেশ করছেন।

ওই নারীর দিকে অন্য রকম দৃষ্টিতে তাকান পুরুষ দোকানি। এমনকি তাকে সেভাবে পাত্তা না দিয়ে উল্টো কুনজরে তাকান। এমন সময় বোরকা পরিহিত এক নারী সেই দোকানে প্রবেশ করেন।

দরজা খুলে ওই নারী ভেতরে আসার আগেই পুরুষ দোকানির মাথা নত হয়ে আসে। বুকে হাত রেখে নত মস্তকে সম্মান জানান ওই নারীকে।

এবার প্রথম নারী বুঝতে পারেন, নিজের পোশাকের কারণে দোকানির কাছে সেভাবে গুরুত্ব পাননি তিনি। তিনি বলেও ওঠেন, আমি বুঝতে পেরেছি যে আমার পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমি এটাও বুঝতে পেরেছি যে সত্যিকারের অলঙ্কারের পার্থক্য কী।

কারণ ওই নারী যখন দোকানির কাছে জানতে চান, আসল সোনা চিনবেন কী করে। দোকানি তাকে বলেছিলেন, আসল সোনা ঢাকা থাকে সাত পর্দা দিয়ে।

পর্দানশীল ওই নারীকে তিনি আসল ‘সোনা’ হিসেবে ধরে নেন। সর্বশেষ দৃশ্যে দেখা যায়, ওই নারীও বোরকা পরে আয়নার সামনে দাঁড়াচ্ছেন।

ভিডিওটি টুইটারে এক লাখ ১৪ হাজারের বেশি বার শেয়ার করা হয়েছে। অনেকেই সেখানে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, নারীরা মানুষ; তাদেরকে কোনো অলঙ্কারের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হয়নি।

কেউ কেউ মনে করছেন, ভিডিওটি দেখে ইন্টারনেটের ডাটা নষ্ট করেছেন। তবে ইরানে আধুনিক পোশাক হলো বোরকা পরা। সে ক্ষেত্রে সারা শরীর বোরকায় ঢেকে মাথাও ঢেকে রাখতে হয়। পর্দানশীল নারীদের ক্ষেত্রে বোরকা ছাড়া আর কোনো কাপড় দেখা যায় না।

গত বছর সে দেশে কিছু সংখ্যক নারী বোরকা বিরোধী আন্দোলনে নামেন। তারা নিজেদের বোরকা বাঁশের লাঠিতে বেঁধে পতাকার মতো করে উড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।