এমনিতে ঢাকাই সিনেমার অবস্থা মন্দা। দিন দিন ছবি নির্মাণের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ঢাকার চলচ্চিত্রের একঝাঁক তরুণ অভিনেতা অভিনেত্রীরা সম্মিলিতভাবে ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। নিজেরাই ছবি নির্মাণে হাত দিচ্ছেন। তাঁরা হলেন শিপন মিত্র, সানজু জন, নাদিম, জয় চৌধুরী, রেসি, শিরিন শিলা, বিপাশা কবির, আঁচল, রোমানা নীড়সহ আরও বেশ কয়েকজন রয়েছে এই উদ্যোগের সঙ্গে। এরই মধ্যে ছবির নাম ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টার ছাড়া হয়েছে। ছবির নাম ‘ভেলকিবাজি’। এই ছবিতে তাঁরা সবাই-ই অভিনয় করবেন। ঈদের পর থেকে শুটিং শুরু’র কথা। তাঁদের তৈরি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং স্টার টিম’-এর প্রথম প্রযোজনা হবে এটি।
কেন এই উদ্যোগ? জানতে চাইলেন ছবির অন্যতম নায়ক শিপন মিত্র নিলেন, ‘আমরা এই ক’জন ভালো বন্ধু। কাজের অবসরে এফডিসিতেই আড্ডা দিই। একদিন আড্ডায় বসে হুট করেই এই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’
তাঁর কথা, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চলচ্চিত্রের বড়রা ছবি নির্মাণ নিয়ে অনেক কথা বলে আসছেন। কিন্তু তাঁদের কথা ও কাজে মিল দেখা যাচ্ছে না। প্রতি বছরই ছবি নির্মাণ কমছে। অবস্থা একেবারেই তলানিতে। তাই দেখলাম বসে না থেকে চলচ্চিত্রের জন্য কিছু একটা করতে পারি কি না আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেখাদেখি যদি আরও শিল্পীরা এভাবে এগিয়ে আসেন তাহলে চলচ্চিত্রের জন্য কিছু একটা হবে।’ মজার ব্যাপার হলো, এই ছবিতে পরিচালক থেবে শুরু করে কোনো শিল্পীই পারিশ্রমিক নিচ্ছেন না।’
ছবিটি পরিচালনা করবেন নৃত্যপরিচালক মাসুম বাবুল। তিনি বলেন, ‘আমরা বিনা পারিশ্রমিকে কাজটি করব। আমরা চাইছি নতুন এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি দাঁড়াক। ইন্ডাস্ট্রি সচল হোক। এখন তো প্রযোজকরা ছবি নির্মাণ করতে আসছেন না। আমরা নিজেরাই একটা ঝুঁকি নিয়ে দেখি না কী হয়। চলচ্চিত্র বাঁচলে শিল্পী বাঁচবেন, কলাকুশলীরা বাঁচবেন। কারণ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত বহু মানুষ এখন বেকার। অনেক কলাকুশলীরা আছেন, যাঁদের হাতে মাসের পর মাস কাজ নেই।’
এই পরিচালক আরও বলেন, ‘এই ছবিতে একাধিক নায়ক নায়িকা থাকছেন। পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলেও ঢাকার চলচ্চিত্রে একসঙ্গে এতগুলো নায়ক নায়িকা নিয়ে ছবি নির্মাণ এখন অতীত। এখন থেকে যদি একাধিক জুটির ছবি নির্মাণ করা যায়, তাহলে শিল্পীরাও কাজের মধ্যে থাকতে পারবেন।’
ছবির আরেক নায়ক জয় চৌধুরী জানান, ‘কমেডি থ্রিলার ধাঁচে এই ছবিটির প্রথম ধাপের শুটিং হবে মালয়েশিয়া অথবা নেপালে। ভেলকিবাজি ছবিটির চিত্রনাট্য ও গান লিখছেন সুদীপ কুমার দীপ।’
