ঈদের আগে ৩ দিন ট্রাক–লরি–কাভার্ড ভ্যান বন্ধ

SHARE

আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তিনদিন সড়ক-মহাসড়কে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঈদের আগে সাত দিন এবং পরে পাঁচ দিন সারা দেশে সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এক প্রস্তুতি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

সচিব বলেন, জনগণের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব শ্রেণির মহাসড়কের চলমান মেরামতকাজ ঈদের সাত দিন আগে শেষ করা হবে। সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যকর থাকবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ সময় জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সড়ক-মহাসড়ক অপেক্ষাকৃত ভালো। তাই এবার ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত অধিকতর স্বস্তিদায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সচিব বলেন, যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর টার্মিনালগুলোয় বিআরটিএর ভিজিল্যান্স টিম থাকবে। ঈদের আগের দিন যাত্রীদের অধিক চাপ নিয়ন্ত্রণে পোশাকশিল্প কারখানাগুলো ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার জন্য বিজিএমইএকে অনুরোধ করা হবে বলেও তিনি জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের আগে তিন দিন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, গার্মেন্টসসামগ্রী, পচনশীল দ্রব্য, ওষুধ ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।

প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ স্পেশাল সার্ভিস পরিচালনা করবে বিআরটিসি। এবার বিআরটিসির বহরে যুক্ত হবে নতুন কেনা দেড় শতাধিক বাস। এ ছাড়া কোথাও যানজট কিংবা পরিবহন সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআরটিসির অতিরিক্ত বাস প্রস্তুত রাখা হবে বলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব জানান।

সচিব বলেন, ঈদের সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে টোল প্লাজাগুলোর সব বুথ চালু রাখা হবে। কঠোরভাবে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা এবং সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা মহানগর পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক এবং ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির নেতারাসহ অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।