তারেক-ফখরুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার প্রতিবেদন ২০ জানুয়ারি

SHARE

tarek fakrulআওয়ামী লীগকে ‘কুলাঙ্গারের দল’ এবং শেখ হাসিনাকে ‘কুলাঙ্গার দলের নেত্রী’ বলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কোনো প্রতিবেদন না আসায় ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন এ দিন ধার্য করেছেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

ওইদিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ বাদীর জবানবন্দী গ্রহণের পর ঘটনাটি তদন্ত করে ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পল্টন থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে তারেক রহমান এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কুলাঙ্গার’ এবং ‘শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’, গত ২ সেপ্টেম্বর তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকারকরা তেলবাজ’ বলে বক্তব্য করেছেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি’ বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য দিয়েছেন। যা মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওইসব বক্তব্য গত ২৬ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।

মামলায় বলা হয়, বঙ্গবন্ধ বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে গার্ড অব অনারও প্রদান করেছেন জেনেও তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। ওই সব মিথ্যা, বানোয়াট, ইতিহাস বিকৃতি ও মানহানিকর প্রকাশ করে দেশসহ বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির মান সম্মান ক্ষুণ্ন করে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ।