নুসরাত হত্যায় অর্থ লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য সিআইডির হাতে

SHARE

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ বিষয়টি তদন্ত করছে সংস্থাটি।

গতকাল শনিবার বিকেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তদন্তের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্তদলের সদস্য ও সিআইডির পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল।

বিকেলে মাদরাসা চত্বরে সংবাদকর্মীদের মোস্তফা কামাল বলেন, রাফি হত্যাকাণ্ডে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তাঁরা কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছেন। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে সিআইডির একটি বিশেষ দল এসে মানিলন্ডারিং বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেবে। তিনি আরো জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যান) এস এম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তাঁদের পাঁচ সদস্যের তদন্তদল আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে জমা দেবে।

এর আগে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, নুসরাতকে যৌন হয়রানি ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পেরেছেন। সেই অর্থ দিয়ে কেউ কেরোসিন ও বোরকা কিনেছে, কেউ পালানো বা আত্মগোপনের চেষ্টা করেছে, আবার কেউ ঘটনা ধামাচাপা দিতেও অর্থ সরবরাহ করেছে বলে তথ্য রয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে কারা ও কী পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করেছে এবং কারা সেই অর্থ গ্রহণ করেছে তার সবই খুঁজে বের করা হবে।

সিআইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচারের জন্য লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে এই অর্থ সরবরাহ করা হয়েছে। তাঁরা নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানি ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আর্থিকভাবে লাভবান ব্যক্তিদের তালাশ করছেন। সিআইডির অনুসন্ধান টিম ঘটনায় অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য খুঁজছেন।