কম খরচে ইন্টারনেট সুবিধা মানুষের মৌলিক অধিকার

SHARE

tim barnarsমানুষকে কম খরচে ইন্টারনেট সুবিধা দিতে হবে। ডেটা প্যাকেজে কোনো বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের কথা বাদ দিতে হবে। ইন্টারনেটকে মানুষের মৌলিক চাহিদা হিসেবে দেখতে হবে। তবেই প্রবৃদ্ধি হবে দেশের। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎ্সা যেমন মানুষের মৌলিক অধিকার, তেমনি কম খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও মানুষের মৌলিক অধিকার হওয়া উচিত বলে মনে করেন ওয়েবের জনক টিম বার্নার্স-লি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবনের কৃতিত্ব কম্পিউটার বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লির। আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এখন সময় এসেছে ইন্টারনেটকে মৌলিক চাহিদা হিসেবে ঘোষণা করার।

এখনো বিশ্বের কয়েক’শ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে কিন্তু এ ক্ষেত্রে সরকারি গোপন নজরদারি ও সেন্সরশিপ ক্রমশ বাড়ছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর ইন্টারনেটকে মৌলিক চাহিদা হিসেবে ঘোষণার তাগিদ দিলেন ওয়েবের জনক।

টিম বার্নার্স-লি বলেন, ইন্টারনেট মানুষের মধ্যে কেবল তখনই বৈষম্য দূর করতে পারবে, যখন ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন হবে না এবং ইন্টারনেটে মুক্তভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা সম্ভব হবে। ২০১৪-১৫ সালের ওয়েব ইনডেক্স প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

১০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ২০১৪-১৫ ওয়েব ইনডেক্সে দেখা গেছে, অনলাইনে সবার ওপরে গোপন নজরদারি ঠেকানোর আইন দুর্বল এবং ৮৪ শতাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো আইন নেই। ৮৬টি দেশ নিয়ে করা জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই অনলাইনে স্পর্শকাতর কনটেন্টগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মুছে ফেলা হয়। এ ছাড়া এই ৮৬টি দেশের প্রায় অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অনলাইন অধিকার খর্ব করা হয়। এই ৮৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৩।
ওয়েব ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ৪৪০ কোটি মানুষ এখনো ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে, যার বেশির ভাগই উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাসিন্দা।
বার্নার্স-লি বলেন, এখন ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সময়। এর অর্থ হচ্ছে সবার জন্য কম খরচে ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা, ইন্টারনেট প্যাকেজ ডেটা কোনো বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি না রেখেই ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া, ওয়েব ব্যবহারকারীরা কে কোথাকার বাসিন্দাÍএ বিবেচনায় না রেখে তাঁদের প্রাইভেসি ও স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

ওয়েব ইনডেক্সে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নরওয়ে শীর্ষে রয়েছে। অর্থাৎ এই তিনটি দেশে ইন্টারনেট আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ৮৬টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম ইন্টারনেট সুবিধা পান ইয়েমেন, মিয়ানমার ও ইথিওপিয়ার জনগণ