এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে উপাত্তের গুরুত্ব তুলে ধরল বাংলাদেশ

SHARE

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ০৫ থেকে ০৮ মার্চ ২০১৯ অনুষ্ঠিত হলো জাতিসংঘ পরিসংখ্যান কমিশনের ৫০তম সেশন। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সরকারের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী। বিভিন্ন ইভেন্টে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে উপাত্তের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন এবং উপাত্ত প্রাপ্তির সুযোগ থেকে কেউ যেন পিছিয়ে পড়ে না থাকে তা নিশ্চিতের ওপর জোর দেন। উপাত্ত ও পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনার জন্য অধিক বিনিয়োগ প্রয়োজন মর্মেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জাতীয় পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠানের আরো সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামোর সৃষ্টির ওপর জোর দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত ন্যাশনাল ডেটা কো-অর্ডিনেশন কমিটির কথা উল্লেখ করে বলেন, এই কমিটি উপাত্ত সরবরাহকারী সংস্থাসমূহ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় স্থাপন করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের জন্য উপাত্ত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন প্রণয়নের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে। উপাত্তের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জসমূহের সমাধানে নতুন উদ্ভাবনীর ওপর জোর দেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভিন্ন জরিপ ও শুমারিসহ এর নানাবিধ কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পাশাপাশি ২০১৩ সালে প্রণীত জাতীয় পরিসংখ্যান আইনের কথাও উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল।

চার দিনব্যাপী এই সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ‘ডেটা এন্ড ইন্ডিকেটরস্ ফর দ্য ২০৩০ এজেন্ডা ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট’, ‘ফান্ডামেন্টাল প্রিন্সিপলস্ অব অফিসিয়াল স্টাটিসিটকস্’, ‘ওপেন ডেটা’, ‘ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ফ্রেমওয়ার্ক’, ‘রিজিওনাল স্টাটিসিটক্যাল ডেভেলপমেন্ট’, ‘ন্যাশনাল একাউন্টস্’, ‘ফাইন্যান্স স্টাটিসিটকস’, ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এন্ড বিজনেস স্টাটিসিটকস’, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টাটিসিটকস’, ‘এনভারনমেন্টাল ইকোমিক একাউন্টিং’, ‘ডিজাস্টার রিলেটেড স্টাটিসিটকস’, ‘ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন স্টাটিসিটকস’, ‘ক্রাইম এন্ড ড্রাগ এন্ড ড্রাগ ইউজ’ সহ বিভিন্ন ইভেন্টে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

এবারের পরিসংখ্যান কমিশনের আলোচনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জাতীয় পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠানের উপাত্ত ও সক্ষমতা বিনির্মাণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনার পাশাপাশি এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বাসযোগ্য, মানসম্মত ও সময়োপযোগী উপাত্ত প্রাপ্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়টি প্রাধান্য পায়।

জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রসমূহের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিনিধিগণ এই অধিবেশনে অংশ নেন। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের সভাপতি উদ্বোধনী সেশনে ভাষণ দেন। তিনি এজেন্ডা ২০৩০ এর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে উপাত্ত সহযোগিতা শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।

পরিসংখ্যান কমিশনের ৫০তম সেশনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উন্নত উপাত্ত, উন্নত জীবন’।