যুক্তরাষ্ট্রে অচলাবস্থা এড়াতে আরেকটি চুক্তি সিনেটরদের

SHARE

যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের অচলাবস্থা এড়াতে সীমান্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে অবশেষে আরেকটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান ও বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটররা। সোমবার স্থানীয় সময় রাতে, ওয়াশিংটনে দু’পক্ষের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ চুক্তিতে রাজি হন তারা। তবে চুক্তিটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদন করবেন কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। টেক্সাসে এক রাজনৈতিক সমাবেশে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে আবারও জোর দেন তিনি।

সোমবার ওয়াশিংটনে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সীমান্তে নিরাপত্তা ইস্যুতে এক চুক্তিতে পৌঁছেছে রিপাবলিকান ও বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটররা। আলোচনায় রিপাবলিকান পক্ষের নেতৃত্ব দেওয়া সিনেটর রিচার্ড শেলবি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। কিন্তু এ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য ট্রাম্প কোন অর্থ পাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

তবে সম্ভাব্য অচলাবস্থা এড়াতে সমঝোতা চুক্তিটি ট্রাম্প সমর্থন করবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওয়াশিংটনে বৈঠক চলাকালে টেক্সাসের এল পাসোতে এক রাজনৈতিক সমাবেশে ছিলেন তিনি। সেখানে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, সহিংস অপরাধীদের গণমুক্তির বিষয়ে কোন চুক্তিতে সাক্ষর করবেন না।

ট্রাম্প বলেন, দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে যা কিছু করা সম্ভব, তার সবই আমরা করছি। চুক্তিটি পড়ে দেখার এতো সময় আমার নেই। তবে একটি বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই যে, কারাগারে বন্দী থাকা জঘন্য অপরাধীদের গণমুক্তিকে সমর্থন করে, এমন কোন চুক্তিতে আমি অনুমোদন দেবো না।

অভিবাসী আটকের বিষয়ে ডেমোক্র্যাটরা চায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে বিছানা কমানো হোক। একই সঙ্গে, ভিসার মেয়াদ শেষের পরও যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে তাদের বদলে যেসব অভিবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড আছে তাদের আটক করার দাবি তোলেন তারা। কিন্তু এই প্রস্তাবে সমর্থন দেননি ট্রাম্প। অন্যদিকে, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দে ট্রাম্পের দাবি নাকচ করে দেয় ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটররা।

এ বিরোধের জেরেই বাজেট পাশ না হওয়ায় এর আগে টানা ৩৫দিন অচলাবস্থায় কাটাতে হয়েছে ট্রাম্প সরকারকে। ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই অচলাবস্থার সাময়িক অবসানে, গত ২৫শে জানুয়ারি হওয়া তিন সপ্তাহের চুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা আগামী শুক্রবার। ওইদিনই ফেডারেল সংস্থার তহবিল শেষ হয়ে যাবে। আর তাই অচলাবস্থা এড়াতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই আরেকটি চুক্তি আবশ্যক ছিল।