কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করে তুলসী পাতা

SHARE

প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধি গুণের কারণে তুলসী পাতার আলাদা পরিচিতি রয়েছে। ছোটোখাটো অনেক রোগের ওষুধ হিসাবে তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। যেমন-

১. গলা ব্যথা সারাতে তুলসী পাতার জুড়ি নেই। সামান্য গরম পানিতে কয়েকটি তুলসী পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলিকুচি করলে উপকার পাবেন। অথবা সিদ্ধ করা তুলসী পাতার পানি পান করলেও গলা ব্যথা কমে।

২. ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি হওয়া খুবই পরিচিত সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে তুলসীর রস দারুনভাবে সাহায্য করে। কিছু পাতা ব্লেন্ড করে অথবা এমনি চিবিয়েও রস খেতে পারেন।

৩. ব্রণ সমস্যা সমাধানের একটি সহজলভ্য ও অন্যতম উপাদান হল তুলসী পাতা। এ ছাড়াও নানা রকম অ্যালার্জির সমস্যা সমাধানে তুলসী পাতা কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তুলসীর পাতার পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগালে এই সমস্যাগুলি অনেকটা কমে যায়।

৪. জ্বর সারাতেও তুলসী পাতার তুলনা নেই। চায়ের সঙ্গে তুলসী পাতা সিদ্ধ করে সেই পানীয় যদি পান করা যায় তাহলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি অসুখ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। পরিবারের কারো জ্বর হলে তাকে তুলসী পাতা এবং দারুচিনি মেশানো ঠাণ্ডা চা পান করান। জ্বর দ্রুত সেরে যাবে।

৫. তুলসী পাতা কিডনিজনিত সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এই পাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে খেতে পারলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। যদি কিডনিতে পাথর জমে, তাহলে তুলসী পাতার রস টানা ৬ মাস খেতে পারলে সেই পাথর প্রসাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।