বিএনপি সোহরাওয়ার্দীতে ১২ মার্চের সভার অনুমতি পায়নি

SHARE


দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডাকা ১২ মার্চের জনসভা করার অনুমতি পায়নি বিএনপি। ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল দলটি।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যুবসমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্বাধীনতা ফোরাম নামে একটি সংগঠন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে এ যুবসমাবেশের আয়োজন করে।

১২ মার্চ বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি চেয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এক সপ্তাহ হলেও এখনো অনুমতি মেলেনি। অথচ আজকে যারা জনসভা করছে, তারা ১০ দিন ধরে ঢাকায় মাইকিং করছে, রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই ব্যানার-ফেসটুন। দুঃখ হয়, কারণ আমরা তো এগুলো কিছু চাচ্ছি না! আমরা শুধু চাচ্ছি একটা সভায় অনুমতি। যেটা আমার সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার। সেই অধিকার থেকে আজকে বিএনপি বঞ্চিত হয়েছে। কেন একটি দলকে তার রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে?’

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খুলনা সার্কিট হাউসের মাঠে ১০ মার্চ আমরা জনসভার আয়োজন করেছি। প্রধানমন্ত্রী সেখানে জনসভা করে এসেছেন। আমরা সার্কিট হাউসের মাঠ চেয়েছি, আমাদের দেয়নি। হাদিস পার্ক চেয়েছি। আজ অবধি আমার জানামতে অনুমতি দেয়নি। আমরা জানি না ১০ মার্চ কী হবে।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে আমরা ২৭ মার্চ অনুমতি চেয়েছি লালদিঘির মাঠে। আগামী ২১ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানে জনসভা করবেন। গত এক মাসে লালদিঘির মাঠে আওয়ামী লীগ সেখানে তিনটা জনসভা করেছে। আমরা কিন্তু জনসভার অনুমতি পাইনি। তাদের তিনটা জনসভায় মারামারি হয়েছে। কোনো জনসভা সুষ্ঠুভাবে হয়নি। আমরা তো শান্তিপূর্ণ জনসভা করতে চাচ্ছি। আমরা মারামারি করার জন্য লালদিঘির মাঠে অনুমতি চাচ্ছি না।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করব। ইতিমধ্যে বিএনপি যে কর্মসূচিগুলো পালন করছে, এর চেয়ে শান্তিপূর্ণ তো আর কোনো কর্মসূচি নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে সভাটি হচ্ছে, ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উপলক্ষে, এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের জনসভা। আমরা স্বাগত জানাই।’

আমীর খসরু বলেন, ‘প্রত্যেক দল তাদের রাজনৈতিক আদর্শ, তাদের চিন্তাভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠান করবে। সেখানে কারও কোনো দ্বিমত থাকার কারণ নেই, এটাই গণতন্ত্র। তারা (আওয়ামী লীগ) একটার পর একটা জনসভা করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোট চাচ্ছেন। বিশাল জনসভার আয়োজন করছেন। কেবল ভোটই চাচ্ছেন না; জনগণকে ডেকে শপথও করাচ্ছেন।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারের সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত, তাঁরাও জনসভায় আসছেন। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ, আমরা স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ চাই।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে যুবসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।