রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের নিশ্চিত সমর্থন থাকবে

SHARE

রোহিঙ্গা ইসু্যুতে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে তৃতীয় রাইসিনা সংলাপের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এর আগে গত অক্টোবরে ঢাকা সফরের সময়ও সুষমা স্বরাজ স্পষ্ট করে জানান, রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান নিহিত।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নিন্দা জানিয়ে উত্থাপিত একাধিক প্রস্তাবে ভারত ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। মিয়ানমারের প্রত্যাশা ছিল ভারত ওই প্রস্তাবগুলোর বিরুদ্ধে ভোট দেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল ভারত পক্ষে ভোট দেবে। শেষ পর্যন্ত ভারত ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকে প্রকারান্তরে বাংলাদেশকেই সমর্থন করেছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা সংকটের শুরুর দিকেই ভারত মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।

বিবিসি জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগকে ভারত সমর্থন জানানোর আশ্বাস দিয়েছে। বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে।

নয়াদিল্লিতে গতকাল মাহমুদ আলী ও সুষমা স্বরাজের বৈঠকের পর ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, দুই দেশ জোরালো দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটি অব্যাহত রাখার ব্যাপারে জোরালো আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয়ে আলোচনা করে। গত অক্টোবর মাসে ঢাকায় যৌথ পরামর্শক কাউন্সিলের চতুর্থ বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়েও তারা আলোচনা করে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় ঘোষিত তৃতীয় ঋণরেখার আওতায় বাস্তবায়নের জন্য উভয় পক্ষ ১৪টি প্রকল্পের বিষয়ে একমত হয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশকে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সন্তোষ প্রকাশ করে এই ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। জবাবে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘সমর্থন নিশ্চিত থাকবে।’ তিনি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পুনর্বাসন কর্মসূচিতে ভারতের সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।