সিলেট নগর ছাত্রলীগ নেতা উত্তমের বিবৃতি কেন্দ্রীয় সভাপতির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান

SHARE

uttomশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দুগ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ দায়ী নয় বলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ যে দাবি করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাবি ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাশ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে উত্তম কুমার নিহত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস ও সংঘর্ষ নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির দেয়া বক্তব্য বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত অনাকাঙিক্ষত ঘটনায় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আমার রাজনৈতিক অনুজ সুমন চন্দ্র দাসের মৃত্যুতে সিলেটসহ সারাদেশ যখন শোকাহত তখন আমার প্রাণের সংগঠনের অন্যতম অভিভাবক ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ তার আত্মার মাগফেরাত কামনার পরিবর্তে, তার পরিবারের প্রতি সমবেদনার পরিবর্তে তার সমালোচনা করেছেন যা ছাত্রলীগের জন্য অত্যন্ত বেদনার।

উত্তম কুমার বলেন, গত বছর ৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর সামসুজ্জামান চৌধুরীর ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে ১ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। যার মেয়াদ গত ২৩ জুন শেষ হয়েছে। এখন আমি মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের নিয়মিত ছাত্র।

তিনি বলেন, আমি নির্যাতিত ছাত্রলীগসহ সকল নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চাই- যেখানে সামসুজ্জামান চৌধুরীর ওপর হামলার কারণে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হলো সেখানে গত ২০ নভেম্বর আমার ভাই সুমন চন্দ্র দাসের হত্যার ঘটনায় কেন কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় বা সংগঠন থেকে এখন পর্যন্ত বহিষ্কার করা হলো না? বরং ওই খুনি কমিটির সকল ঘাতকদের বাঁচাতে আমার প্রিয় সংগঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিপদগামী শিক্ষক মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুগ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে সুমন চন্দ্র দাস নিহত হওয়ার পরদিন শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, এই সংঘর্ষে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। ছাত্রলীগের কেউ এ সংঘর্ষে জড়িত ছিল না। সুমন দাস নামে যে ছাত্র মারা গেছে সেও ছাত্রলীগের কেউ নয়।