অজিদের বধ করতে পারবে বাংলাদেশ?

SHARE
MIRPUR, BANGLADESH - AUGUST 28: Shakib Al Hasan of Bangladesh celebrates taking the wicket of Matthew Renshaw of Australia during day two of the First Test match between Bangladesh and Australia at Shere Bangla National Stadium on August 28, 2017 in Mirpur, Bangladesh. (Photo by Robert Cianflone/Getty Images)

মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই শেষ হয়ে গেল টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস। ঘূর্ণি উইকেটে ২২১ রানে অলআউট হলো স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৭৮ রান করলেন তামিম ইকবাল। শেষে দুর্দান্ত লড়াই করলেন মেহেদী মিরাজ আর শফিউল ইসলাম। দুজনের লড়াইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের জন্য অজিদের সামনে টার্গেট দাঁড়াল ২৬৫ রানের। ৬ উইকেট নিয়ে একাই টাইগারদের ধসিয়ে দিলেন অজি স্পিনার নাথান লায়ন।

ম্যাচের বাকী আরও দুই দিন। বল ব্যাপকভাবে টার্ন করছে। আরও করবে। কিন্তু এই পুঁজি নিয়ে অজিদের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট জিততে পারবে বাংলাদেশ?

নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা তাইজুল ইসলামের (৪) উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ৬১ রানে অজি স্পিনার নাথান লায়নের বলে তিনি এলবিডাব্লিউ হয়ে যান।

তামিমের নতুন সঙ্গী ইমরুল কায়েসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ২ রান করে সেই লায়নের বলেই এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হন।

এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন তামিম ইকবাল এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৪তম এবং চলতি ম্যাচে টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। তবে আবারও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হলো দেশসেরা ওপেনারকে। প্যাট কমিন্সের বলটি তামিমের হ্যান্ডগ্লাভসটি সামান্য স্পর্শ করেছিল। আম্পায়ার আলিম দার প্রথমে আউট দেননি। তবে অজিরা রিভিউ নিলে ৭৮ রান করা তামিমকে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। তামিমের আউটের সাথে সাথে শেষ হয় মুশফিকের সঙ্গে তার ৬৮ রানের দারুণ কার্যকরী এক পার্টনারশিপ।

সাকিবও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। প্রথম ইনিংসে ৮৪ রান করা সাকিব আজ ৫ রান করেই লায়নের বলে কমিন্সের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর ৪৩ রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং তরুণ সাব্বির রহমান। কিন্তু আচমকা ধস নামে। ৪১ রান করে রানআউট হয়ে যান মুশফিক। এক ওভার পরেই কোনো রান না করে অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে ক্যাচ দেন নাসির। সাব্বিরের (২২) লড়াই থামল লায়নের ফিরতি ওভারে হ্যান্ডসকম্বের তালুবন্দী হয়ে।

টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস যখন শেষ হওয়ার অপেক্ষা, তখন আবারো প্রতিরোধ গড়েন মেহেদী মিরাজ আর শফিউল ইসলাম। ২৮ রানের জুটি গড়ে অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন দুজন। অ্যাগারের ওভারে একটা চার হাঁকিয়ে পরের বলেই ক্যাচ দেন তিনি। ১৩ রানের ইনিংসে মেরেছেন ৩টি বাউন্ডারি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মেহেদী মিরাজ তুলে নাথান লায়নের শিকার হন। তার ২৬ রানের ইনিংসটির কী যে গুরুত্ব তা বলে শেষ করা যাবে না।