স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ঢাকা শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডে চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার চারণভূমি হিসিবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই ৪৭টি ওয়ার্ডের ৯২টি এলাকায় এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ১৭ জুন অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. আজাদ এসব কথা বলেন।
এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, মন্ত্রনালয়ের সচিবদ্বয় যথাক্রমে সিরাজুল হক খান এবং সৈয়দ সিরাজুল ইসলামসহ মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. আজাদ বলেন, ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মশক নিবারনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। এসব এলাকায় এডিস মশা প্রজননের হার স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় তিন গুণ।
এ অবস্থায় আগামী ১৭ জুন শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার বিষয়ে সচেতনতার জন্য বিশেষ কর্মসূচি পালিত হবে।
তিনি জানান, ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সমন্বয়ে ৯২টি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম চিহ্নিত এলাকায় এডিস মশার সম্ভব্য প্রজনন স্থল শনাক্ত করে তা ধ্বংস এবং জমে থাকা পানি অপসারণ করবে। জনগণকে এডিস মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে সচেতন করবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবগণ, অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
