একশ’ আসনে নিশ্চিত জয় পাব: এরশাদ

SHARE

‘জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে ১০০টিতে নিশ্চিত জয় পাবে। মাঠের জরিপই এই তথ্য বলে দিচ্ছে।’রংপুরে ৪ দিনের সফরে এসে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসব কথা বলেন।

তিনি সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর হয়ে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় তার নিজ বাসভবন পল্লীনিবাসে পৌঁছেন।

আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এখন দেশের মানুষ আর কারও ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। তারা সব দলের সরকার আমল দেখেছেন। তাই এবারে দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির ওপর বেশি আস্থাশীল।

তিনি বলেন, মানুষের আশা-আকাক্ষা পূরণের জন্য আগামী নির্বাচনে রংপুরের ছয়টি আসনসহ তিনশ’ আসনেই জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেবে। এর মধ্যে একশ’ আসনে আমরা নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হব। আর ৩০টি আসনে আমাদের জয়ী হবার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠ জরিপও তাই বলে।

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, এবার রংপুরের কোনো আসনে অন্য কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। জেলার ছয়টি আসনেই আমরা প্রার্থী দেব। রংপুর ছাড়াও রংপুর অঞ্চলের ২২টি আসনেই আমরা প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছি এবং আমরা সব আসনে জয়ী হব।

বর্তমান সরকারের বেশকিছু কাজের সামালোচনা করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের মানুষ এখন শান্তি চায়, স্বস্তি চায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চায়, মানুষ জীবনের নিরাপত্তা চায়।

চালের দামের এ ঊর্ধ্বমুখি পরিস্থিতি নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চালের দাম এখন আকাশচুম্বী। সাধারণ চালের দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের উচিত ছিল দেশে যখন ধানের উৎপাদন কমে গেছে তখন আগাম প্রস্তুতি নেয়া। তা হলে দেশের মানুষ এই সংকটে পড়তেন না।

প্রস্তাবিত বাজেটের কঠোর সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, জনগণ এই বাজেট গ্রহণ করেনি, রিকশাওয়ালা, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ, এমনকি খোদ সরকারি কর্মকর্তারাও প্রস্তাবিত এ বাজেটে খুশি নয়।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের করের বোঝা চাপিয়ে দিলে জনগণের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। এর প্রভাব পড়বে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ওপর। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো আরও নিঃস্ব হয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছর যেহেতু জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সে কারণে এবারের বাজেট নির্বাচনমুখী হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে এমন একটা বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে যা দেশের সিংহভাগ মানুষ গ্রহণ করেনি।

এর আগে এরশাদ পল্লীনিবাসে পৌঁছালে দলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, মহানগর সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির উপস্থিত ছিলেন।