এই দেশ ও সরকার আসলে চালাচ্ছে কে: ফখরুল

SHARE

২৪আওয়ার রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে পুলিশের নিষ্ফল তল্লাশির ঘটনায় কারা সরকার ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে তা জানতে চেয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে যুবদল আয়োজিত সভায় এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য আমাকে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন করেছে। তিনি বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেই তল্লাশির পরে পুলিশ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, তল্লাশির প্রাপ্তি শূন্য।

‘ওইখানেই প্রশ্নটা। তাহলে কারা সরকার ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে? যারা তল্লাশির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা কারা? তারা কোন গোয়েন্দা? আর এই দেশ ও সরকার আসলে চালাচ্ছে কে?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রশ্নের জবাব অবশ্যই সরকার ও ওবায়দুল কাদেরের দেয়া উচিত। যে তথ্যের ভিত্তিতে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন নেতার কার্যালয়ে একটা হীন অভিযোগ নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়, আর সেই অভিযোগ যখন মিথ্যা প্রমাণিত হয় তখন এই সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে?’

তিনি বলেন, ‘ভিশন-২০৩০’ দেয়ার পরেই আওয়ামী লীগ মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাদের নেতানেত্রীরা এমন এমন কথাবার্তা বলছেন, অনেকে সন্দেহ করছে তারা আদৌ সুস্থ আছেন কিনা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি-ফোবিয়াতে’ সরকার ভুগতে শুরু করেছে। এ কারণে আবার নতুন করে বেআইনি গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে।

শনিবার সকালেও মৎসভবন এলাকা থেকে আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরকম প্রতিদিনই নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ৪/৫ জনকে ধরা হয়।

বন্দুকধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুলনা জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা (সরকার) পুলিশ ও প্রশাসন কব্জা করেছেন, মিডিয়া কব্জা করতে বিভিন্ন আইন তৈরি করছেন, আপনারা বিচার বিভাগকে কব্জা করার চেষ্টা করছেন। তবে যারা বেআইনি কাজ করছেন, তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে।’

সরকার উন্নয়নের নামে ভুল পরিসংখ্যান দিচ্ছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ রকমের ভাওতা। রেমিট্যান্স কমে প্রায় ২২% এর নিচে, রফতানি আয় কমছে, বিনিয়োগ নাই, গ্রামের কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছে না। রোজাকে সামনে রেখে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব এই সরকারকে সরানো। এজন্য নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।’

যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানের পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন  চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা মোরতাজুল করিম বাদরু, মাহমুদুল হাসান পিংকু, যুবদলের উত্তর ও দক্ষিণের এসএম জাহাঙ্গীর, রফিকুল ইসলাম মজনু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মোস্তফা কামাল রিয়াদ প্রমুখ।