আমৃত্যু কারাদণ্ড সাঈদীর

SHARE

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।image_98579_0
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়।
এই মামলায় আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। এর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
বুধবার সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে এজলাসে আসেন প্রধান বিচারপতিসহ বেঞ্চের অপর চার বিচারপতি। সকাল ১০টা সাত মিনিটে রায় দেয়া শুরু হয়। শেষ হয় ১০টা ১০ মিনিটে।
আপিলে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৬, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে সাঈদীকে খালাস দেয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৭ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর এবং ৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে তাকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।
 রায়ে ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটিতে দোষী সাব্যস্ত হন সাঈদী। এর মধ্যে একাত্তরে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালীকে হত্যার দায়ে আলাদা দুটি অভিযোগে তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়। ওই সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছিলেন এই জামায়াত নেতা। আর রাষ্ট্রপক্ষ অন্য ছয়টি অভিযোগে সাজা চেয়ে আপিল করে, যেগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাইব্যুনাল সাজা দেননি।
এ রায়ের মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্বিতীয় কোনো মামলার চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তি হলো।