জাগপা সভাপতি প্রধানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

SHARE

২৪আওয়ার রিপোর্ট : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বাদ জোহর আসাদগেটের নিজ বাসভবন প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা হয়।
এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, ছাত্রদল নেতা শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও স্বজনরা অংশ নেন।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর আসাদগেটের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে শফিউল আলম প্রধানের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী রেহানা প্রধান, মেয়ে ব্যারিস্টার তাহমিয়া প্রধান, ছেলে রাশেদ প্রধানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জাগপার সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত দু’দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন শফিউল আলম প্রধান। এর আগে তিনি একাধিকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

বাদ আসর ইকবাল রোড জামে মসজিদে আরেক দফা জানাজার পর মরদেহ রাখা হবে হিমঘরে। সোমবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজার পর বিকালে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

এদিকে শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে জড়ো হয় জোটের নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত হয়ে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।

শফিউল আলম প্রধান ১৯৫০ সালে পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তমিজউদ্দিন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করা শফিউল আলম প্রধান ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

১৯৭৪ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে সাতজন ছাত্রকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে তিনি ছিটকে পড়েন। বিচারে শফিউল আলম প্রধানের কারাদণ্ড হয়েছিল।

পরে জিয়াউর রহমানের সময়ে তিনি মুক্তি পান এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করেন।