বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ১৪০ চিকিৎসকের চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ

SHARE
২৪আওয়ার রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১৪০ চিকিৎসকের চাকরি পুনর্বহালে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ রায় দেয়।
চাকরির ধারাবাহিকতাসহ এসব চিকিৎসককে অবিলম্বে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এসব চিকিৎসকরা যতদিন চাকরি থেকে বাইরে ছিলেন ওই সময়ে অবৈতনিক ছুটি হিসেবে গণ্য হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
চাকরি ফিরে পেতে এসব চিকিৎসকদের ৫টি রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করলেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম সিন্ডিকেট সভায় ২০০৫ সালে ২০০ জন মেডিকেল অফিসারের পদ সৃষ্টি করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ২০০৬ সালে ১৮ অক্টোবর কিছুসংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে স্বাচিপের তৎকালীন মহাসচিব ইকবাল আর্সালান হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে আদালত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নিয়োগ সংশোধন সাপেক্ষে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
আদালতের আদেশে বলা হয়, ২০০৭ সালের ১ মার্চ এসব চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০০৮ সালে সিন্ডিকেটে তাদের চাকরিতে স্থায়ী করা হয়। তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের পর ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চিকিৎসকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়।
এ মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে ১৪০ জন চিকিৎসক আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চায়। চেম্বার কোর্ট বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে ‘লিভ টু আপিল’ করতে বলে। পরে ২০১১ সালে ‘লিভ টু আপিল’ করেন চিকিৎসকরা। সেই আপিল চলতি বছর ২২ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে চিকিৎসকগণ আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন দায়ের করেন। এ রিভিউ’র ওপর কাল আদেশ দেবে আপিল বিভাগ।
আদালতে আবেদনকারী চিকিৎসকদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, কামরুল হক সিদ্দিকী, এ এম আমিন উদ্দিন ও শরীফ ভূঁইয়া শুনানি করেন। অপরদিকে বিএসএমএমইউ’র পক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম শুনানি করেন।