‘মেজর জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার হওয়া আশফাক’

SHARE

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান বলছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সামরিক বিভাগের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) শাখার প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান পলাতক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এসব তথ্য জানিয়েছে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম আশফাক-উর-রহমান ওরফে অয়ন। আরিফ বা অনীক নামেও তিনি পরিচিত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ভাটারা থানার নর্দ্দা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আশফাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, এবিটির সামরিক বিভাগের আইটি শাখার প্রধান আশফাক। তিনি চাকরিচ্যুত ও পলাতক সেনা কর্মকর্তা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। কয়েক মাস আগে ঢাকার বাইরে জিয়ার সঙ্গে আশফাকের দেখা হয়। দুই মাস আগেও তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছিল।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আশফাকের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল সেট, আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের জিহাদি প্রবন্ধ, আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপের নেতা ইয়েমেনের আনোয়ার আল আওলাকির বক্তব্য ও ব্লগার হত্যার প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, আশফাককে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে অধ্যয়নের সময় এবিটিতে যোগ দেন। ২০১৫ সালে সংগঠনের সামরিক বিভাগের আইটি শাখার প্রধান হন।

২০১৫ সালের মে মাসে এবিটিকে নিষিদ্ধ করে সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবিটি আল-কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণ করে। সংগঠনটির হামলার মূল লক্ষ্য মুক্তচিন্তার অনুসারী, ব্লগার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

ব্লগার হত্যার দায় স্বীকার করা ‘আনসার আল ইসলাম’ হচ্ছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নতুন নাম। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত ও পলাতক সেনা কর্মকর্তা জিয়া।