‘শ্রমিক সমাবেশের অনুমতি নিয়ে টালবাহানা করছে সরকার’

SHARE

২৪আওয়ার রিপোর্ট : আগামী পহেলা মে আন্তর্জাতিক মে দিবসে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকার গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের জোট শরিকরা যখন খুশি, তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোকে সেখানে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে এত টালবাহানা কেন? শ্রমিক দিবস আন্তর্জাতিক দিবস, এই দিনটি শ্রমজীবীদের অধিকার আদায় ও অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিবসটি পালনের জন্য জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সর্বপ্রকার প্রস্ততি সম্পূর্ণ করেছেন। এতে সহাযোগিতা করছে বিএনপি। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

তিনি বলেন, ‘পহেলা মে সম্ভব না হলে ২ কিংবা ৩ মে যেকোনো এক দিন সমাবেশের অনুমতি প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপি দুর্গত এলাকায় ফটোশেসন করতে গেছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমন বক্তব্যের জাবাবে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে সত্যের অপলাপ। বর্তমান আওয়ামী বরং দুঃশাসনের কসমেটিকস উন্নয়নের ফটোসেশসন দেখতে দেখতে জনগণ এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি বাধা না থাকলে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অঞ্চলে ব্যাপক ত্রাণকার্য চলাতে সক্ষম হতো। এমনকি বেসরকারি সাহায্য সংস্থা নাগরিক সংগঠনগুলোও সরকারের অসহযোগিতার কারণে ত্রাণকার্য চালাতে পারছে না।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে বলতে চাই, জনগণের আহার, ক্ষুধা ও অসহায়ত্ব নিয়ে মশকরা করবেন না। দেশের সব রাজনৈতিক দল বিভিন্ন এনজিও এবং নাগরিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর ত্রাণ তৎপরতায় বাধার সৃষ্টি করবেন না।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট শামছুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ড, সহ-দফতর মুনির হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু প্রমুখ।