সন্ত্রাস দমনে ঢাকাকে কাছে চায় মস্কো

SHARE

সন্ত্রাস দমনে ঢাকাকে কাছে চায় মস্কো। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ঢাকার বিষয়ে মস্কোর এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।

রাশিয়া সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আজ বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ইস্যুসহ সন্ত্রাসবাদ দমনে ঢাকা-মস্কোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক শেষে টেলিকম ও যোগাযোগ এবং সংবাদ সংস্থা বাসস ও ইতার-তাসের মধ্যে সহযোগিতা–সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেন।

সন্ত্রাস দমনে রাশিয়া-বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সন্ত্রাসবিরোধী আন্তর্জাতিক জোট গঠনের যে আহ্বান জানিয়েছিলেন, তার প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এই জোটে আমাদের সহযোগী দেশের সংখ্যা আরও বাড়বে এবং বাংলাদেশ হচ্ছে অবশ্যই সেসব দেশগুলোর একটি।’

লাভরভ বলেন, জাতিসংঘ ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মতো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পারস্পরিক সমন্বয় এবং যোগাযোগ বজায় রাখতে দুই দেশ রাজি হয়েছে।

অন্যদিকে সব ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখার কথা উল্লেখ করেন মাহমুদ আলী।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মস্কো সফরে আসায় মাহমুদ আলীকে ধন্যবাদ জানান লাভরভ।

এদিকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা বর্তমান রাশিয়ার ভূমিকা, বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইনমুক্ত করার কথাও উল্লেখ করেন।
রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভকে বাংলাদেশ সফরে আসতে শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্র সের্গেই লাভরভের কাছে পৌঁছে দেন মাহমুদ আলী।

উল্লেখ্য, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সফরে রাশিয়া এসেছেন। মাহমুদ আলী বুধবার রাতে মস্কো এসে পৌঁছান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিনিধিদলে তথ্য সচিব মর্তুজা আহমদ, জ্বালানিসচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ও রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) শওকত আকবরসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।