সিরিয়ার পথে রুশ রণতরি

SHARE

সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে সে ঘটনার এক দিন পরই ভূমধ্যসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করেছে রাশিয়ার একটি রণতরি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস জানায়, অ্যাডমিরাল গ্রিগোরোভিচ নামের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ওই রণতরি সিরিয়ার টার্টাসে অবস্থিত উপকরণগত সহায়তার ঘাঁটি পর্যন্ত যেতে পারে।
সিরিয়ার হোমস প্রদেশে স
রকারি বাহিনীর শায়রাত বিমানঘাঁটিতে গত শুক্রবার ভোরে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, গত মঙ্গলবার সিরিয়ার ইদলিবে ‘রাসায়নিক গ্যাস’ হামলার শাস্তি হিসেবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ওই গ্যাস হামলায় শিশুসহ অন্তত ৮৬ জন নিহত হন।

সামরিক-কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস গতকাল জানায়, কৃষ্ণ সাগরের নভোরসি বন্দরে সরঞ্জাম সরবরাহ পাওয়ার পর রণতরি অ্যাডমিরাল গ্রিগোরোভিচ ভূমধ্যসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এর আগে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী এই রণতরি কৃষ্ণসাগরে মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল।
রণতরি পাঠানোর এ ঘটনাকে ন্যাটো জোট রাশিয়ার কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে।
রাশিয়ার রণতরি পাঠানোর ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন মার-এ-লাগো 

রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব শন স্পাইসার বলেন, প্রেসিডেন্ট ‘তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ জানাতে চান না’। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে এ সময় স্পাইসার বলেন, ‘প্রথম এবং প্রধানতম বিষয় হলো, প্রেসিডেন্ট আশা করেন, সিরিয়ার সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করার ব্যাপারে সম্পাদিত চুক্তি মেনে চলবে।’

যুক্তরাষ্ট্র ভূমধ্যসাগরে থাকা দুটি যুদ্ধজাহাজ থেকেই সিরিয়ায় টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়ে। ওই হামলার পরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরই সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দেয় মিত্র রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আগ্রাসনমূলক কর্মকাণ্ড’ বলে আখ্যা দেন।এদিকে সিরিয়ার ব্যাপারে রাশিয়ার অবস্থান ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, রাশিয়ার এই নিন্দা ‘হতাশাজনক’ হলেও ‘বিস্ময়কর’ নয়।
নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি ইরানের সিরিয়ায় গত মঙ্গলবারের ‘রাসায়নিক গ্যাস’ হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গতকাল শনিবার দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলে
ন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ‘সন্ত্রাসীরাই’ উল্লসিত হয়েছে। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় যে ব্যক্তিটি এখন আছেন, তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় আজ সিরিয়ায় সন্ত্রাসীরাই আনন্দ উদ্যাপন করছে।’