সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় তুরস্ক

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার তাঁর দেশের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। আজ সোমবার রাতে এই দুই নেতার মধ্য ১৫ মিনিট কথা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, আজ সন্ধ্যায় ১৫ মিনিটের আলাপে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সিলেটে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানান।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে কিছু বিভ্রান্ত লোক ইসলামের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। তিনি বলেন, ‘তারা ধর্মের নামে ইসলামিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, গত বছর তুরস্কের বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভ্যুত্থান অপচেষ্টার নিন্দা করেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখি।’ তিনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

ফোনালাপের শুরুতেই তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং দেশের ৪৭তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও একই কথা উল্লেখ করেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ঘিরে রাখা হয়। শুক্রবার ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াত সিলেটে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থল ঘেরাও করে। এরপর শনিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামে অভিযান শুরু করে। এ অভিযানের মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যায় দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত এবং আরও ৪৪ জন আহত হন। স্মরণকালের মধ্যে এটা সবচেয়ে দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী জঙ্গিবিরোধী অভিযান।

সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটে সেনাবাহিনীর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আতিয়া মহলের নিচতলায় চারটি মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্য থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। চারজনের মধ্য তিনজন পুরুষ, একজন নারী। সেনাবাহিনীর প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া সুন্দর ও সফলভাবে আজকের অভিযান শেষ হয়েছে। দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়েছে। নিচতলা থেকে চারটি মরদেহ পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা তথ্য ছিল, ওই ভবনের নিচতলায় চারজন আছেন। এর মধ্য তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। আমরা দুটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। বাকি দুটি মরদেহে আত্মঘাতী বেল্ট লাগানো আছে। পুরো ভবনে যে পরিমাণ বিস্ফোরক আছে, তা যদি ফেটে যায়, তাতে পুরো ভবন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই দেখে শুনে বেশ সতর্কতার সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।