আশকোনার অভযিানে এক নারীসহ দুইজন নহিত

SHARE

ashkonaরাজধানীর দক্ষণিখান থানার র্পূব আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় অভযিানে এক নারীসহ দুইজন নহিত হয়েছে।

শনবিার ঘটনাস্থল থকেে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা জানান।
তনিি বলনে, এ অভযিানে ২জন নহিত, চার জন আত্মসর্মপণ করছেনে এবং ২ জন আহত হয়ছেনে।

রাজধানীর আশকোনায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে চলা অভিযান প্রসঙ্গে পুলিশ বলেছে, আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার একটু পরে নিচতলা বাসার দরজা খুলে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন এক নারী। ঘটনাস্থলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর তাঁর সঙ্গে থাকা সাত বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু আহত হয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কীভাবে ওই ‘জঙ্গি’ নারী বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছেন, উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রথম দফায় ওই বাড়ির নিচতলার বাসা থেকে চারজন আত্মসমর্পণ করেন। এই চারজন হলেন মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি ও সাবেক মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা, তাঁর মেয়ে এবং পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তাঁর মেয়ে। আরও তিনজন ওই বাসায় ছিল। তাদের বের হওয়ার জন্য পুলিশ এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় দিয়েছিল। বারবার তাদের হ্যান্ডমাইকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তাতে সাড়া দেয়নি।

ছানোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ওই বাড়ির গাড়ি পার্কিংয়ের পিলারের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি দেখতে পানে বোরকা পরা একজন নারী বাঁ হাতে একটি মেয়েশিশুকে ধরে বাসার দরজা খুলে বাইরে এসেছেন। ওই দুজন পার্কিংয়ের দিকে আসছিলেন। তখন তিনি তাঁদের দাঁড়াতে বলেন। বারবার বলেন হাত তুলতে। কিন্তু ওই নারী দাঁড়াননি। তিনি শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে সামনে দিকে হাঁটতে শুরু করেন। একপর্যায়ে বাঁ হাতে শিশুটিকে ধরে রেখে ডান হাত ওপরের দিকে তোলার মতো ভঙ্গি করেন। তবে তখন তিনি কোমরে রাখা বিস্ফোরকে চাপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে।

দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ওই নারী ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। শিশুটিকে নড়াচড়া করতে দেখে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

‘সূর্য ভিলা’ নামের বাড়িটি ঘিরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।