মিল্কি হত্যায় আওয়ামী লীগ নেতা টিপুর জামিন ফের নামঞ্জুর

SHARE

যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুর জামিন আবেদন আবারো নামঞ্জুর করে দিয়েছেন আদালত।

রোববার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
image_97295_0
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। ওইদিন তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হলে তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৬ জুন রাতে রাজধানীর গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে গুলিতে নিহত হন মিল্কি। ওই শপার্স ওয়ার্ল্ডের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা চিত্রে দেখা যায়, একটি প্রাইভেটকার থেকে মিল্কি নামার পর জাহিদ সিদ্দিক তারেক ওরফে কিলার তারেক তাকে গুলি করেন। গুলি করার পর সোহেল মাহমুদ নামে এক যুবকের মোটরসাইকেলে করে তারেক পালিয়ে যান।

এ সংক্রান্ত মামলায় গত ১৫ এপ্রিল ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যা বের সহকারী পুলিশ সুপার কাজেমুর রশিদ।
ওই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে গত ৯ জুন আদালতে নারাজি দাখিল করেন বাদী মিল্কির ভাই মেজর রাশিদুল হাসান খান। এরপর আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি জাহিদুল ইসলাম টিপু ও ওহিদুল আলম আরিফ ভুঁইয়ার নাম অভিযোগপত্রে না থাকায় ওই নারাজি দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে যে আসামিদের নাম রয়েছে তারা হলেন- মিল্কির ড্রাইভার মারুফ রেজা সাগরের স্ত্রী ফাহিমা ইসলাম লোপা, এসএম জাহিদ সিদ্দকী ওরফে তারেক ওরফে কিলার তারেক (ঘটনার পর দিন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত), শাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, জাহাঙ্গীর মণ্ডল, শহিদুল ইমলাম, আমিনুল ইসলাম হাবিব, সোহেল মাহমুদ, চুন্নু মিয়া, মো. আরিফ, ইব্রাহিম খলিলউল্লাহ, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও শরিফ উদ্দিন চৌধুরী পাপ্পু।