চলন্ত বাসে ধর্ষণ: একজনের স্বীকারোক্তি, দুজন রিমান্ডে

SHARE

rape_symbol
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে চলন্ত বাসে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে একজন আজ শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর বাকি দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আজ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধনবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান মোস্তফা বলেন, পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে আজ বিকেলে টাঙ্গাইল মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার খালেক আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অপর আসামি হাবিবুর ও রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ওই পোশাকশ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রেহানা পারভিন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাঁরা ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন।
Rape-symbol
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার পোশাকশ্রমিক সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি ধনবাড়ীর দত্তবাড়ি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে সেখান থেকে তিনি গাজীপুরের শফিপুরে কর্মস্থলে ফিরতে ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে যান। সেখানে তিনি ঢাকাগামী একটি বাসে ওঠেন। কিন্তু ওই বাসে তিনি ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিল না। কিছু দূর যাওয়ার পর বাসচালক, চালকের সহযোগী ও তত্ত্বাবধায়ক গামছা দিয়ে তাঁর মুখ বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে মধুপুর উপজেলা সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ সড়কে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি সেখান থেকে বাসে গাজীপুরের শফিপুরে চলে যান। পরে তাঁর স্বামী এ ঘটনা টাঙ্গাইলের কয়েকজন পরিবহন শ্রমিকনেতাকে জানান। শ্রমিকনেতারা তাঁদের টাঙ্গাইল পরিবহন শ্রমিক কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। সেখানে নেতারা কয়েকজন পরিবহন শ্রমিককে হাজির করেন। তাঁদের মধ্য থেকে তিন ধর্ষককে চিহ্নিত করা হয়।
ওই পোশাকশ্রমিক জানান, শ্রমিকনেতারা বিষয়টি মামলা না করে সালিসি বৈঠকে মীমাংসার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তিনি ও তাঁর স্বামী তা মানেননি। পরে তাঁকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতেই তিন ধর্ষক ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার তৎপরতায় যুক্ত থাকা ছয় শ্রমিকনেতাকে আসামি করে তাঁর স্বামী ধনবাড়ী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ বাসচালক হাবিবুর রহমান ওরফে নয়ন (৩৪), চালকের সহযোগী খালেক আলী ওরফে ভুট্টো (৩০) এবং বাসের তত্ত্বাবধায়ক (সুপারভাইজার) রেজাউল করিম। বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।