মীর কাসেমের ফাঁসি ছাড়া ঘরে ফেরা নয়: ইমরান

SHARE

তিন বছর আগে আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার পর যেভাবে শাহবাগে টানা অবস্থান চলেছিল, মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের জন্যও সেভাবে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে মীর কাসেমের আপিলের রায়ের দিন ৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান থাকবে।

মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, “ওই দিন সকাল ৮টা থেকে আমরা প্রজন্ম চত্বরে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকব এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে দাবি আদায় করে নেব।”

জামায়াতে ইসলামীর অর্থ জোগানদাতা মীর কাসেমের আপিলের শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ প্রকাশকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোচনা চলছে।

তার ফাঁসির রায় বহাল না থাকার ইঙ্গিত মিলছে বলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন। তিনি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে আপিলের পুনঃশুনানির দাবি জানিয়েছেন।

মীর কাসেমকে ‘রক্ষার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় রোববার শাহবাগে অবস্থানে ইমরান বলেন, “মীর কাসেম আলীকে রক্ষা করার চূড়ান্ত ষড়যন্ত্রে তারা নেমেছে।

“বিচার প্রক্রিয়াটি আরও দীর্ঘায়িত করার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। প্রয়োজন মনে করি না, নতুনভাবে তদন্ত করার কিংবা নতুনভাবে আবার প্রসিকিউসন বা ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া আবার নতুনভাবে শুরু করার।”
ইমরান বলেন, “নতুনভাবে বিচার প্রক্রিয়ার আগে আমাদের ভাবতে হবে, আমাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগগুলো যেহেতু প্রমাণিত হয়েছে এবং প্রমাণিত হয়েছে যে একাত্তর সালে মীর কাসেম আলী চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং সেখানে নির্বিচারে নিরীহ মানুষদের হত্যা করেছে।

“সুতরাং আজকে নতুনভাবে প্রমাণ করবার আর কিছু নেই। আজকে যেহেতু মীর কাসেম আলীর অপরাধ প্রমাণিত, তাই নতুনভাবে আর কালক্ষেপণ করার সুযোগ নেই।”

বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে যুদ্ধাপরাধীরা নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করবার সুযোগ পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন গণজাগরণের মুখপাত্র।

“বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে যুদ্ধাপরাধীরা নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করবার সুযোগ পাচ্ছে এবং বারবার আমাদের রাজপথে এসে দাঁড়াতে হচ্ছে। সুতরাং এই দীর্ঘসূত্রতার জাল আগে ভাঙতে হবে।”

“আমরা প্রত্যাশা করব, মতিউর রহমান নিজামী এবং মীর কাসেম আলীসহ যাদের মামলা ইতোমধ্যে নিষ্পত্তির পথে রয়েছে, আপিল বিভাগ এর দ্রুত নিষ্পত্তি করে অবিলম্বে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকরের রায় দেবে,” বলেন ইমরান।