কুরআনে মানুষ সৃষ্টির ইচ্ছা পোষণ

SHARE

1155মহান আল্লাহর অনুগ্রহের কথা চিন্তা করে শেষ করা যাবে না। হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টির পূর্বে ফিরিশতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। যার বর্ণনা এ আয়াতে এসেছে- আল্লাহ যেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করে বলছেন, হে মুহাম্মদ! সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি মানব সৃষ্টির ঘটনাটি স্মরণ করুন এবং আপনার উম্মতকে জানিয়ে দিন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
Quran-Inner
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেন, আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি যা জানি, তোমরা তা জান না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৩০)

অত্র আয়াতে মানুষ সৃষ্টির ব্যাপারে ফেরেশতাদের সঙ্গে মনোভাব প্রকাশের পর ফিরিশতারা আল্লাহর উদ্দেশ্য কি তা জানতে চান। আল্লাহ তাআলার প্রতিনিধি বানানোর ঘোষণায় ফিরিশতাদের এমন বক্তব্য হিংসা কিংবা অভিযোগমূলক নয়, বরং সত্য ও যৌক্তিকতা জানার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, হে আমাদের রব! এ সম্প্রদায় সৃষ্টি উদ্দেশ্য কি? তাদের মধ্যে এমন লোকও হবে যারা ফিতনা ফাসাদ সৃষ্টি করবে। যদি উদ্দেশ্য এই হয় যে, তোমার ইবাদাত হোক, তাহলে এই কাজের জন্যতো আমরা রয়েছি। আর আমাদের নিকট থেকে ফিতনা-ফাসাদের আশংকাও নেই। তখন আল্লাহ বললেন আমি জানি তাদের কল্যাণের দিক। তাদের মধ্য থেকেই হবে আম্বিয়া, শহীদ, সৎকর্মশীল এবং বড় ইবাদাতকারী মানুষ।

সুতরাং মানুষকে মনে রাখতে হবে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে প্রতিনিধিরূপে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর যথাযথ হুকুম-আহকাম পালনের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে সৎকর্মশীল এবং বড় ইবাদাতকারী হিসেবে কবুল করুন। আমিন।