এনটিভির আতিক হত্যায় একজনের ফাঁসি, দুইজনের ডাবল যাবজ্জীবন

SHARE

এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অপর এক আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।image_87734_0

মঙ্গলবার দুপুরে ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ডাবল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে আরো একবছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন শাকিল শিকদার ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার শরমহল গ্রামের আবদুস সাত্তার সিকদারের ছেলে শাকিল শিকদার। ঘটনার সময়ে তিনি ঢাকার দক্ষিণখান থানার আজমপুর এলাকার কাচাবাজার মধ্যপাড়া বারেক ভাণ্ডারি রোডে থাকতেন।

যাবজ্জীবন কারাদাণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নরসিংদীর রায়পুরা থানার রামনগরহাট গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে আলী সরকার নাহিদ ও পটুয়াখালী জেলার কেওয়াবুনিয়া গ্রামের জিন্নাত হাওলাদারের ছেলে ফোরকান।

ঘটনার সময় নাহিদ থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে।

এছাড়া অপর আসামি মো. খোকনকে  তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক মাস বেশি কারাভোগ করতে হবে।

তিনি বরগুনা জেলা আমতলী থানার কলাগাছিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আমজাদ মৃধার ছেলে। ঘটনার সময় তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার পাগলা দক্ষিণ নয়ামাটির রুহুল আমিনের বাড়িতে বসবাস করতেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নিহত আতিকুল ইসলাম ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় অফিসের কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরেছিলেন। টঙ্গী ডাইভারশন রোডের মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের তালতলা গলির ভেতর বাবুলের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা আতিকুল ইসলামকে পরপর দুটি গুলি করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান।