রমনা বোমা হামলায় ৮ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন

SHARE

রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলা রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় মামলার আসামি মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ৯ আসামি আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন।image_87551_0

ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন ঘটনার ১৩ বছর পর সোমবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হোসেন সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবু বকর। এদের মধ্যে মুফতি হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন ও আরিফ হোসেন সুমন কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাওলানা সাব্বির ওরফে মান্নান, মাওলানা শওকত ওসমান এরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাদাত উল্যাহ জুয়েল, মাওলানা ইয়াহিয়া। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২৮ মে বুধবার আসামি পক্ষে যুক্ততর্ক উপস্থাপনের শেষে গত ১৬ জুন রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়া পুনরায় ২৩ জুন সোমবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। গত ৫ মে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর আবু হেনা মো. ইউসুফের পুনঃসাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন।গত বছরের  ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটির ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ১ বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে জঙ্গিদের বোমা হামলায় ১০ ব্যক্তি নিহত হন অনেকে আহত হন।

এ বোমা হামলা মামলাটির তদন্তে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করা হয়। অবশেষে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। আদালত মামলাটিতে ২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

মামলার ১৪ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা আবদুর রউফ, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া ও মওলানা আকবর হোসাইন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এছাড়া আসামি মওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হাই পলাতক আছেন।