১৫৪ জন সংসদ সদস্য পরোক্ষভাবে বৈধ: অ্যাটর্নি জেনারেল

SHARE

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজের মাধ্যমে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য পরোক্ষভাবে বৈধতা পেল বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।image_86996_0

বৃহস্পতিবার রিট খারিজের পর অ্যাটর্ণি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্ণি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা নিয়ে করা রিটটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য পরোক্ষভাবে বৈধতা পেল। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।”

তিনি বলেন, “এ রায়ের মাধ্যমে বহুল বিতর্কিত একটি বিষয়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো। ”

অ্যাটর্ণি জেনারেল বলেন, “আদালত একই  সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে করা অপর রিটটিও  খারিজ করে দিয়েছেন। ”

তিনি বলেন, “আরপিওতে কোনো কিছু সংযোজন-বিয়োজন করার এখতিয়ার সংসদের আদালতের না। আইন বিভাগের কাজে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।”

৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “সময়মত নির্বাচন না হলে সংবিধান ব্যহত হত। এতে অনির্বাচিত ব্যক্তিরা ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করতো। সুতরাং ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অব্যশক ছিল। ”

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় উল্লেখ করে  বৃহস্পতিবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন।

এ বিষয়ে গত বুধবার চূড়ান্ত শুনানি শেষ বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য দিন ধার্য হয়।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা-সংক্রান্ত ১৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালামের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন।