স্বপ্নার স্ক্যান্ডাল সিলেটে তোলপাড়

SHARE

shopnaকখনও জেএসডি নেত্রী। কখনও মানবাধিকার কর্মী। আবার কখনও একজন ব্যবসায়ী। বহু পরিচয়ে চলেন সিলেটের
স্বপ্না আক্তার। মধ্য বয়সী এই নারীকে নিয়ে সিলেটে কৌতুহলের অন্ত নেই। সমপ্রতি তার সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেটজুড়ে। বহু পুরুষের সঙ্গী এই স্বপ্না আক্তার। পুরুষদের সঙ্গে প্রেম, অভিসার, এক সঙ্গে যাপন সব কিছুই তার কাছে ছেলেখেলা। এক সঙ্গে বহু পুরুষের সঙ্গে রোমাঞ্চ প্রেম চালিয়ে যাওয়া স্বপ্না আক্তার ইতিমধ্যে সিলেটের যুবকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন ভিন্নরূপে। ইন্টারনেট মিডিয়ার বদৌলতে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে গেছেন তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরে ইউটিউবে সিলেটের স্বপ্নার স্ক্যান্ডাল ভিডিও ঝড় তুলেছে ওয়েব দুনিয়ায়। এক যুবকের সঙ্গে হোটেল কক্ষে অবাধে মেলামেশার দৃশ্য বেশ অকপটে ধারণ করেন স্বপ্না। মাত্র দেড় মিনিটের স্থায়ী ওই ভিডিওতে স্বপ্না নিজেকে উপস্থাপন করেছেন যৌন ভঙ্গিমায়। আর তার এসব নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই সিলেটে। চলছে মাতামাতি। সবখানেই আলোচনা। স্বপ্নাকে ঘিরে জল্পনার ডালপালা ছড়াচ্ছে সিলেটে। সেই কলেজে পড়ার জমানা থেকেই তিনি বাস করছেন সিলেটে। এর আগে স্বপ্নার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। স্বামী ছিল পল্লী চিকিৎসক। স্বামীর সঙ্গে বাস করেছেন নগরীর চারাদিঘীরপাড় এলাকায়। স্বপ্নার একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। সিলেটে স্বপ্নার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছে জকিগঞ্জের শিহাব নামের এক ব্যবসায়ীর। একপর্যায়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ওই সময় স্বপ্না আক্তার নিজেকে উজাড় করে দেন শিহাবের উপর। স্বামীর সঙ্গ ছেড়ে তিনি পাড়ি জমান নগরীর উপশহর এলাকায়। ওই এলাকায় দুটি বাসা ভাড়া করে পর্যায়ক্রমে করেন বসবাস। ওই সময় স্বপ্না স্বামী হিসেবে জকিগঞ্জের ওই ব্যবসায়ীর নাম জানিয়েছিলেন। কোথাও কোথাও শিহাবকে ভাই হিসেবেও পরিচয় দেন স্বপ্না। ওই সময় শিহাবও স্বপ্নার ঘরে টিভি, ফ্রিজ, ফার্নিচার দেন। পাশাপাশি স্বপ্নার ছেলের পড়ালেখার খরচ দেন। স্বপ্নার সম্পর্কের বিষয়টি এক সময় জানতে পারেন শিহাবের পরিবারও। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তিতে পড়েন শিহাব। শিহাবের পরামর্শে সিলেট নগরীর মীরাবাজারের আগপাড়া গলির মুখে মা টেইলার্স চালু করেছিলেন স্বপ্না বেগম। ওই টেইলার্সের মালিক ছিলেন স্বপ্না নিজেই। টেইলার্সের কাজের জন্য স্বপ্না আরও কয়েকটি মেয়ে রাখেন। ওই মেয়েদের দিয়ে অসামাজিক কাজ চালানোর অভিযোগ উঠে স্বপ্নার বিরুদ্ধে। এলাকার যুবকদের কাছে ওই টেইলার্স ছিল পরিচিত স্থান। এর সামনে গড়ে উঠেছিল যুবকদের আড্ডাস্থলও। সিলেটের সোনাপাড়া এলাকার নবারুন ৬৫নং বড়বাড়ির বাসিন্দা মুক্তার মিয়ার বাসার দুই তলার ভাড়াটে ছিলেন স্বপ্না আক্তার। ওই সময় স্বপ্নার সঙ্গে বাড়ির মালিকেরও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক এক সময় আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে। ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি জানাজানি হয় বাড়িওয়ালার পরিবারে। পরে বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে স্বপ্নাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ প্রদান করা হলে স্বপ্না নিজেকে বাসার মালিক দাবি করেন। এ নিয়ে স্বপ্না আক্তার সিলেটের শাহপরান থানায় মামলাও করেছিলেন। এতসব স্ক্যান্ডালের ভিড়ে স্বপ্নার নতুন সংযোজন ওয়েব মিডিয়া। ইউটিউবে চলে গেছে স্বপ্নার যৌন লিলার অশালীন ফুটেজ। সেগুলো নিয়ে ঝড় উঠেছে সামাজিক গণমাধ্যমে। এ সংক্রান্ত দুটি ফুটেজও চলে এসেছে মানবজমিনের এ প্রতিবেদকের হাতে। ফুটেজে দেখা গেছে, স্বপ্না আক্তার সিলেট শহরের একটি হোটেল কক্ষে আমেরিকান প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়েছেন। ফুটেজে ওই যুবকের সঙ্গে স্বপ্নার অশ্লীলতার এমন কোন দৃশ্য নেই যা ক্যামেরাবন্দি হয়নি। দুটি ফুটেজের সবচেয়ে আলোচিত দেড় মিনিটের ফুটেজ কয়েক মাস আগে ইউটিউবে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্বপ্নার কয়েকজন বয়ফ্রেন্ড। আর অশ্লীলতার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হওয়ার পর স্বপ্নার সঙ্গে প্রেম প্রেম খেলতে থাকা যুবকরা চলে যায় দূরে। বছরখানেক আগের ঘটনা। স্বপ্নার ছোটো ভাই দুলাল ছিল প্রবাসী। প্রবাস থেকে ফেরার পথে দুলাল বিয়ে করেন। আর বোনের ফাঁদে পড়ে এক পরিবারভুক্ত হন তিনি। কিন্তু দুলালের কাছে এক সময় পরিষ্কার হয় স্বপ্নার চরিত্র। বোনের বহুগামিতা বিচলিত করে তোলে দুলালকে। এসব নিয়ে স্বপ্নার সঙ্গে দুলালের দ্বন্দ্ব হয়। দুলালও খারাপ আচরণের জন্য বোনকে মারধর করেন। এরপর থেকে আলাদা ভাবে বাস করছেন দুলাল। এদিকে, এতসবের ভিড়ে বড় আকারের প্রতারণা শুরু করেছিলেন সিলেটের স্বপ্না আক্তার। তিনি জালালাবাদ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির ব্যানারে একটি সঞ্চয়ী সমিতি খুলেছিলেন। ওই সমিতির মাধ্যমে হাজারো মহিলার টাকা লুটে নেন তিনি।