কেন তোতা বলে কথা, বেরোল তা রহস্য

SHARE

tota birdযাও পাখি বলো, হাওয়া ছল ছল…।এই বর্ষায় মনটা গাইতেই পারে। কিন্তু এই গান যদি তোতাপাখি গায়, তাতেও অবাক হবেন না। এমনিতেই সকলেরই জানা, তোতাপাখি মানুষের গলা অনুকরণ করতে পটু। তবে কখনও কি মনে এসেছে, এরা কী করে কথা বলে? মন্দ-ভালো, যা শেখানো হয়, তাই চটপট শিখে ফেলে। কিন্তু, কী ভাবে?

মনের এই কৌতূহল থেকেই তোতাপাখি নিয়ে গবেষণা শুরু করে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। সম্প্রতি তোতা-র কথা শেখার রহস্য আবিষ্কার করা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।

তোতাপাখি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তারা দেখেছেন, এই পাখিটির ব্রেনে রয়েছে একটি বিশেষ অঞ্চল। যাকে তারা বলছেন কোরস। এই কোরসই গোটা ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করে। কোরস থাকার কারণে কণ্ঠ নকলে ওস্তাদ তোতা। শুধু নকলই নয়, শব্দ শুনে তা মনেও রাখতে পারে। এর বাইরেও রয়েছে একগুচ্ছ shell বা outer ring, তোতার শব্দশিক্ষায় এই শেলগুলোরও বড় ভূমিকা রয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, অন্য পাখির তুলনায় তোতার ক্ষেত্রে এই শেলগুলো আকারে বড় হয়। যে কারণেই তারা মানুষের কথা শুনে, এত ভালো অনুকরণ করতে পারে।