টেকনাফে ‘মানবপাচারকারীর’ গুলিবিদ্ধ লাশ

SHARE

tecnaffকক্সবাজারের টেকনাফে মানবপাচার মামলার আসামি এক রোহিঙ্গা যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পেয়েছে পুলিশ।

ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি খাতা, যাতে ‘পাচারের লেনদেনের তথ্য’ রয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলছেন, সোমবার সকালে উপজেলার আলী খালি লবণের মাঠ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে আমান উল্লাহ আনু নামের ৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মানবপাচারের টাকার ‘ভাগবাটোয়ারা নিয়ে চক্রের মধ্যে অন্তর্কোন্দলে’ মিয়ানমারের নাগরিক আনু নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ওসি।

তিনি বলেন, “আনু থাইল্যান্ড-মালেশিয়া ভিত্তিক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মানবপাচার আইনে আটটি মামলা রয়েছে।”

মিয়ানমারের মংডু শহরের মোহাম্মদ শফির ছেলে আনু কক্সবাজারের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন বলে পুলিশের তথ্য।

“প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মানবপাচারের টাকা লেনদেন নিয়ে চক্রের দুটি পক্ষের মধ্যে ভোরে গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশ সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।”

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক, কার্তুজের খোসা ও দুটি খাতা উদ্ধার করা হয়। ওই খাতায় ‘পাচার সংক্রান্ত লেনদেনের তথ্য’ লেখা রয়েছে বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, আনুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।