চার মাস পর কোমা থেকে জাগলেন তরুণী

SHARE

shoristaগর্ভের সন্তান সবে পাঁচ মাস। গত ডিসেম্বরে গাড়ি দুর্ঘটনায় কোমায় চলে যান তরুণী। তিনি যে সেই কোমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন, সে আশা বিন্দুমাত্র ছিল না। ডাক্তারদের কথায় নিরাশ হলেও, আশা পুরোপুরি ছেড়ে দিতে পারেনি পরিবার। ক্ষীণ আশা জিইয়ে রেখেছিল তরুণীর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস। ডিসেম্বর গড়িয়ে এপ্রিল। ডাক্তারদের ভুল প্রমাণ করে, চোখ খুললেন সেই তরুণী। অঘটন আজও ঘটে!

গাড়ি দুর্ঘটনার পর ম্যাডিসনভিলের বছর কুড়ির তরুণী শরিস্টা জাইলসকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, কোমায়া চলে গিয়েছেন তরুণী। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে বলে দিয়েছিলেন, জ্ঞান ফেরার কোনো আশাই তারা দেখছেন না। তা-ও তিন মাস রেখে দিয়েছিলেন। মার্চের গোড়ায় পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিকিৎসক হিসেবে তাদের আর কিছু করার নেই। তরুণীর আত্মীয় বেভারলি জাইলসের কথায়, ডাক্তার আশা ছাড়লে কী হবে, আমরা কিন্তু হাল ছাড়িনি। তাই সেখান থেকে শরিস্টাকে আমরা নিয়ে যাই হারিমান কেয়ার অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে। মার্চ থেকে সেখানেই রাখা হয়েছে শর্মিস্টাকে। গত বুধবার সেখানেই জেগে ওঠেন তরুণী। পরিবারের ডাকে সাড়াও দিয়েছেন।

তরুণীর আর জ্ঞান ফিরবে না ধরে নিয়ে, গত জানুয়ারিতেই তার ডেলিভারি করা হয়। স্বাভাবিক কারণেই তার ওজন ছিল দু পাউন্ডেরও কম। ডাক্তারদের বিশেষ নজরদারিতে রাখতে হয় তাকে। তবে, বাচ্চাটি এখন সুস্থ। ওজন বেড়ে ছ পাউন্ড। মেয়ের ওই যমে-মানুষে টানাটানির মধ্যে বাচ্চার আর নাম রাখা হয়ে ওঠেনি। মুখে মুখে নাম হয়ে গিয়েছে বেবি-এল।

কোমা থেকে জেগে পুত্রসন্তানের ছবি থেকে চোখ সরাননি তরুণী। ডাক্তারদের আশা, খুব শিগগির তারা বাচ্চাটিকে মায়ের কোলে তুলে দিতে পারবেন। সেই অপেক্ষায় জাইলস পরিবার।