রাজনীতিতে হালাল হতে সিটি নির্বাচন কৌশলে খালেদা

SHARE

enu uরাজনীতিতে হালাল হতে খালেদা জিয়া আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কৌশল হিসেবে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোড সংলগ্ন হেয়ার রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গ্রাম পুলিশের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সমর্থিত সিটি মেয়র প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসীদের কোনোদিনও শক্তিশালী করবে না এদেশের সচেতন ভোটাররা। আপনারা যারা বিএনপির সমর্থন নিয়ে, খালেদা জিয়ার সমর্থন নিয়ে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তারা আগুন সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের হাতকেই শক্তিশালী করছেন।

কিন্তু এদেশের সচেতন ভোটাররা সব সময়ই জঙ্গিবাদকে প্রত্যাখান করে এসেছে। অগুন সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে এসেছে। ভোটের রাজনীতিতে এসে খালেদা জিয়া এখন হালাল হতে চাইছেন। সিটি নির্বাচনকে তিনি রাজনীতিতে হালাল হওয়ার কৌশল হিসেবে নিয়েছেন।

থোক বরাদ্দ থেকে সরকার গ্রাম পুলিশের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিগত ৪০ বছরে দেশের কোনো সরকার গ্রাম পুলিশের ভাতা বৃদ্ধি করেনি। শেখ হাসিনার সরকার, গ্রাম দরদী সরকার। ভাতা বাড়ানোর মধ্যদিয়ে এবার সরকার গ্রাম পুলিশের প্রতি, গ্রামের প্রতি সম্মান দেখালো।

এ জন্য গ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় গ্রাম পুলিশকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করেন। গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকলে দেশের উন্নতি হবে। আপনারা এতোদিন ধরে গ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রেখে এসেছেন। চোর-ডাকাত-বখাটেদের হাত থেকে গ্রাম এবং গ্রামবাসীদের রক্ষা করে এসেছেন।

কিন্তু সম্প্রতি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে ভয়াবহ আগুন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উৎপাত শুরু হয়েছে। ফলে এই ভয়াবহ উৎপাত থেকে গ্রাম এবং গ্রামবাসীকে নিরাপদে রাখার বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই বাড়তি দায়িত্বটা আপনারা এতদিন ধরে নীরবে পালন করে এসেছেন। আগামীতেও করবেন।

সৌজন্য সাক্ষাতের এক পর্যায়ে মন্ত্রী জাতীয় স্কেলে গ্রাম পুলিশের বেতন কাঠামো করার আশ্বাস দেন।

এ সময় সংসদ সদস্য ও জাসদ নেত্রী শিরিন আকতারসহ দলের বেশ ক’জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

গ্রাম পুলিশদের পক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নে সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক।

চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে মর্যাদা, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো, রেশনিং ব্যবস্থা, অবসর ভাতা, চাকরির নিশ্চয়তা এবং গ্রাম পুলিশের বিধিমালাসহ সাতদফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে দেশের গ্রাম পুলিশরা।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা তথ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবির কথা জানান। পরবর্তীতে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই ভাতা বৃদ্ধি করা হয়।

গত ২৯ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে ৫০:৫০ হারে ভাতা বৃদ্ধি করে আগামী ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর করার সুপারিশ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাম পুলিশদের এই সংগঠন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাকে অভিনন্দন জনায়।

দেশের চার হাজার ৫৪৮ টি ইউনিয়নে ৪৬ হাজার ৮৭০ জন গ্রাম পুলিশ রয়েছে। তাদের সর্বনিম্ন ভাতা ১ হাজার ৯ শ’ টাকা উন্নীত করে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং ২ হাজার ১ শ’ টাকার ভাতা উন্নীত করা হয়েছে ৩ হাজার ৪ শ’ টাকায়।