জিএসপির অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেশি না হলেও ইমেজ বাড়াবে’

SHARE

আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশ আবারো জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, “জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালে তারা আমাদের ১৬টি শর্ত দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো শর্ত বাস্তবায়ন করেছি। কয়েকটি শর্ত বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ। সেগুলোও বাস্তবায়নাধীন।”image_83893_0

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে রঞ্জন সেন রচিত ‘মার্কিন জিএসপি অর্থনীতি না রাজনীতি’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতি ও অর্থনীতি একই সূত্রে গাথা। অনেক দেশই আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের এ সুবিধা বাতিল করেছে। কিন্তু তারা সাব সাহারা দেশগুলোকে জিএসপি সুবিধা দিয়েছে। সেব দেশগুলোকে জিএসপি সুবিধা দিলেও তাদের চেয়ে উন্নত শিল্প বাংলাদেশে থাকা সত্ত্বেও তা বাংলাদেশকে তা দেয়া হয়নি।”

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “জিএসেপি সুবিধা পুনর্বহালে মার্কিন শর্ত বাস্তবায়নের রিপোর্ট গত ১৫ এপ্রিল পাঠানো হয়েছে। আমেরিকা এই মুহূর্তে কোনো দেশকেই জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে না। আবার জিএসপি দেয়া শুরু হলে আশা করছি, তারা আমাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।”

তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আমেরিকায় আমরা কয়েকটি পণ্যের ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা পাই। এর মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প নেই। তবে জিএসপিতে অর্থনৈতিক গুরুত্ব খুব বেশি না হলেও এটার রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। কারণ এটা সারা বিশ্বের কাছে আমাদের ইমেজ বহন করে।”

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের জিএসপি স্থগিত করার বিষয় রাজনৈতিক না অর্থনৈতিক কারণে হয়েছে, তার উত্তর পাওয়া বেশ কঠিন। যেসব শর্ত আমেরিকা দিয়েছে তার প্রায় সবকটিই পূরণ হয়েছে। আশা করবো, বাকিগুলোও পূরণ করে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।”

আমেরিকা শিগগিরই বাংলাদেশকে জিএসপি ফেরত দেবে বলে আশা করেন বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, “জিএসপি পুনরুদ্ধারে আমেরিকা যেসব শর্ত দিয়েছে, তার প্রায় সবগুলো বর্তমান সরকার পূরন করেছে। জিএসপি বাংলাদেশের ইমেজ বাড়াবে বলে আশা করছি।”

শ্রমিক নেতা রায় রমেশ চন্দ্র বলেন, “আমেরিকা জিএসপি প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শ্রমিক সমাজ কখনোই সমর্থন করেনি। প্রত্যাহার কখনোই সমাধান হয় না। বাস্তবতার সঙ্গে এ সিদ্ধান্তের মিল নেই। তার অভিযোগ, শ্রম আইন যদি মালিকরা ঠিকভাবে অনুসরণ করতেন, তাহলে আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আমেরিকায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদুত হুমায়ূন কবীর, অর্থনীতিবিদ আহসান মঞ্জুর প্রমুখ।