নিউক্যাসলকে হারিয়ে এএফএ কাপের সেমিফাইনালে ম্যানসিটি

SHARE

এএফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিউক্যাসলের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। অথচ চলতি মৌসুমে তাদের আগের দুবারের দেখায় বেশ লড়াই হয়েছিল। সিটি জয় পেলেও তাদের বেশ কাঠখড় পোহাতে হয়েছিল নিউক্যাসলের বিপক্ষে। তবে এবার আর তেমনটি হয়নি, শেষ পর্যন্ত পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে।

একই সঙ্গে ম্যাচটিতে রেকর্ডও গড়েছে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। এফএ কাপ ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে তারা টানা ছয় আসরে সেমিফাইনালে উঠেছে। ঘরের মাঠ ইতিহাদে গতকাল (শনিবার) রাতে তারা আতিথ্য দেয় নিউক্যাসলকে। যেখানে বল দখল থেকে শট সবকিছুতেই আধিপত্য ছিল স্বাগতিক সিটির। তাদের হয়ে দুটি গোলই করেছেন পর্তুগিজ তারকা মিডফিল্ডার বার্নার্দো সিলভা।

ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। শুরুর ১৩ মিনিটেই সিটিকে লিড এনে দেন সিলভা। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রির বাড়ানো বল বক্সে পেয়ে প্রথমে ড্রিবল এরপর তিনি গোলমুখে শট নেন। নিউক্যাসল গোলকিপার মার্টিন দুবরাবকা ঠিকমতোই ঝাঁপিয়েছিলেন, কিন্তু তার আগে বল ডেনিয়েল বার্নের মাথায় লেগে খানিকটা দিক পাল্টে জালে পৌঁছে যায়। ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরাও। তবে নিউক্যাসল ফুটবলার আলেক্সান্ডার আইজ্যাকের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন সিটি কিপার স্টেফান ওরতেগা।

প্রায় একইভাবে স্বাগতিকরা পরের গোলটিও পেয়ে যায়। রুবেন দিয়াজের পাস পেয়ে বাঁ পায়ে শট নেন সিলভা। বিরতির আগেই দ্বিগুণ লিড এনে দেওয়া গোলটি যদিও পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের পা থেকে হয়েছে, তবে একইভাবে নিউক্যাসল ফুটবলার সেন বটম্যানের গায়ে লেগে সেটি দিক পাল্টে যায়। সেই গোলই হয়ে থাকল ম্যাচের সর্বশেষ। এরপর আর্লিং হলান্ড, ফিল ফোডেনরা সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি।

এর মাধ্যমে গার্দিওলার অধীনে আটবারের মধ্যে সাতবারই এফএ কাপের সেমিফাইনালে ওঠে গেল ম্যানসিটি।