যশোরে বিএনপির ১২৫ নেতার নামে চার্জশিট

SHARE

bnp logoযশোর প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধনে পুলিশের বাধা ও গুলির ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৫ নেতাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাতজনকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। তদন্ত শেষে রোববার আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ গণি মিয়া।

অভিযুক্তদের সবাই বিএনপি জেলা, নগর ও বিভিন্ন ইউনিট কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন— যশোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতন, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, আবদুস সবুর মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত আসন) চমনআরা বেগম, নগর কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ নূরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, জাতীয়তাবাদী মহিলাদল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফিরোজা বুলবুল কলি, জাতীয়তাবাদী যুবদল জেলা কমিটির সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান ধনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এম তমাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন চৌধুরী, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও পৌরসভার কাউন্সিলর হাজী আনিসুর রহমান মুকুল, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তৈয়বুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক মাহতাব নাসির পলাশ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস হোসেন, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে ও বিএনপি জেলা কমিটির সদস্য অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, পৌরসভার কাউন্সিলর জুলফিকার আলী জুলু, ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলা, পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ, শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির, বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র আবদুল হাই মনা, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, মণিরামপুরের পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ মো. ইকবাল, মণিরামপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক, ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম মিজানুর রহমান, শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান প্রমুখ।

এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করেছে, গত ১ অক্টোবর প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে বিএনপির মানববন্ধন চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ সাতজনকে আটক করে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই আজগর হোসেন বাদী হয়ে ১২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত আরও শতাধিক ব্যক্তির নামে পুলিশের কাজে বাধাদান, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে দুটি মামলা করে। সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। দিনের ব্যস্ত সময়ে প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি হওয়ায় সাংবাদিকসহ বহু মানুষ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের বিবরণ অবশ্য ভিন্ন। তারা জানান, তৎকালীন মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ধর্ম অবমাননামূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে ওই দিন বিএনপির ডাকা মানববন্ধন করতে দেয়নি পুলিশ। দলটি এই কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে গুলি ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিএনপিকর্মীরা একতরফাভাবে পুলিশি হামলার শিকার হলেও এক দিন পর মামলাও হয় তাদের নামে।