আশরাফুলের ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে নতুন রহস্য

SHARE

asraful fixingবালাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ ফিক্সিং করার দায়ে নির্বাসনে যেতে হয় ক্রিকেটার আশরাফুলকে। এই বিষয়ে মোহাম্মদ আশরাফুল মুখ না খুললেও অবশেষে মুখ খুললেন সেই সময়ের ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কোচ ইয়ান পন্ট।

ম্যাচ ফিক্সিং সম্পর্কে ইয়ান পন্ট বলেন, ম্যাচ ফিক্সিং নয় আমি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে সহযোগিতা করেছি। আর তাতেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসে। উঠে আসে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের খেলোয়াড় মোহাম্মদ আশরাফুলসহ আরও অনেকের নাম।

২০১৩ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায় চেপেছিল তখনকার ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কোচ ইয়ান পন্টের উপরও। ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পন্ট বলেন, ‘শুরুটা হয়েছিল ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, ওই দিন জিসান চৌধুরীর (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের মালিক) সঙ্গে আরেকজন লোক আমার কক্ষে এসেছিলেন। ওই সময় আমরা ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। জিসান আমাকে বলেছিলেন, আমরা চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচটি ফিক্স করব।

এসব শুনে নাকি বেশ ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন পন্ট। বলেছিলেন, ‘আমি বাড়ি যাব’। তিনি আরও বলেন,  আমার মাথা ঘুরছিল। তাঁরা নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফির জায়গায় অধিনায়ক ঠিক করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে। তাঁরা জানত, মাশরাফি এই কাজের সঙ্গে আসবে না, কারণ এর আগেই মাশরাফি ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে দিয়েছিল, এমনকি বিষয়টি মিডিয়াতেও এসেছিল।

ম্যাচের দুই দিন পর দলের খেলোয়াড় ও কোচদের খাম ভরে টাকা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বেতন পেতেন ১০ হাজার ডলার। তবে খাম খুলে দেখেন ৬ হাজার ডলার।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  আমি বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। কারণ, এটা তো সেই পরিমাণ অর্থ, যেটা আমাকে বলা হয়েছিল ফিক্সিংয়ের জন্য। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপারটি পিটারকে জানিয়েছিলেন পন্ট। তবে পন্টকে জানানো হয়েছিল এটা বেতনের টাকা। বাকি চার হাজার ডলার পেয়ে যাবেন। কিন্তু পরে তা দেয়া হয়নি।

পন্ট আরও জানান, সে ম্যাচে দলের বাইরে রাখায় মাশরাফি বেজায় চটেছিলেন। সে প্রসঙ্গে বললেন, আমাকে একটা প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, হাঁটুর চোটের কারণে মাশরাফি খেলবে না। সেটি অমূলকও নয়।

কারণ, মাশরাফি বহুদিন হাঁটুর চোটে ভুগছিল। তবে যখন আমি তাঁকে বিষয়টি বললাম, তখনই ভীষণ চটে গেল। রেগেমেগে সামনে থাকা পানির বোতলে লাথি মারল। আমার ধারণা, সে বুঝতে পেরেছিল কী হতে যাচ্ছে।