উগ্রপন্থি সেই রানা বিদেশে পালিয়েছে!

SHARE

rana azadবারবার টার্গেট হচ্ছেন মুক্তমনা ব্লগার ও লেখকরা। একের পর এক তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। একাধিক ব্লগারকে হত্যার পর মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানার নাম উঠে আসে। এমনকি বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার পরও ঘুরেফিরে রানার নাম আলোচনায় ছিল। রানার দেশত্যাগ ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ সীমান্তে সতর্কতা জারি করে। রানা এরই মধ্যে দেশছেড়েছে বলে জানা গেছে। তবে কবে কী প্রক্রিয়ায় কোন দেশে পালিয়েছে, তা বিস্তারিত বলতে চাননি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় রানা চার্জশিটভুক্ত আসামি। অভিজিৎ হত্যার পর থেকেই রানাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, রানা বিদেশে পালিয়েছে_ এমন তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে।কে এই রানা :রানা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও নটর ডেম থেকে এইচএসসি পাস করে। এর পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর সাবেক ছাত্র ছিল। গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞায় উত্তর জয়লস্করপুরে। ছাত্রাবস্থা থেকেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে উগ্র মতাদর্শী হিসেবে পরিচিতি পায়। নর্থ সাউথের কয়েক বন্ধু মিলে নিয়মিত যাতায়াত করত আনসারুল্লাহর তাত্তি্বক নেতা জসীমুদ্দিন রাহমানীর মোহাম্মদপুরের আস্তানায়। জসীমুদ্দিনকে গ্রেফতারের পর সংগঠনের হাল ধরে রানা। মিরপুরে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার খুনের পর প্রথমে তার নাম প্রকাশ্যে আসে। রানার পরিকল্পনায় রাজীবকে হত্যা করা হয় বলে একাধিক আসামি স্বীকারোক্তি দেয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর রানাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। তবে শেষ পর্যন্ত অধরাই থাকে রানা। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলার পর তার কয়েকজন বন্ধু ‘প্রতিশোধ’ নিয়ে মিয়ানমারে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। রানা কাউকে হত্যার জন্য সঙ্গীদের দায়িত্ব দিলে চূড়ান্ত পরিকল্পনার একদিন আগে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সঙ্গীদের বলে, ‘এটাই তোমাদের সঙ্গে আমার শেষ দেখা হতে পারে। হয়তো তুমি আর জীবিত নাও থাকতে পারো।’ তবে একই ব্যক্তিকে একাধিক কোনো ‘দায়িত্ব’ দেয় না রানা।