দোনেৎস্কে সংঘর্ষ, নিহত ৫০

SHARE

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেত্স্কে, সেনাবাহিনী এবং রুশপন্থী জঙ্গিদের মধ্যে লড়াইয়ের দ্বিতীয় দিনে, জঙ্গিদের বিপুল ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে৷ গোলাগুলিতে আটত্রিশ জন জঙ্গি এবং দু’জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে৷ ‘দোনেত্স্ক গণ প্রজাতন্ত্র’য়ের স্বনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, রুশপন্থী নেতা অ্যালেকজান্ডার বোরোদাই অবশ্য বলেন তাদের তরফে ৫০ জন নিহত হয়েছেন৷ তিনি স্বীকার করে নেন যে দোনেত্স্ক বিমানবন্দর এখন ইউক্রেন সেনার দখলে৷image_83713_0

ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী আর্সেন আভাকভ কিয়েভে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দোনেত্স্ক বিমানবন্দর আবার আমরা অধিকার করে নিয়েছি৷ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে শুধু আমাদের প্রতিপক্ষের৷ আমরা সুরক্ষিতই আছি৷’

এক সরকারি বৈঠকের মাঝে, ইউক্রেনের প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী ভিতালি ইয়ারেমা বলেন, ‘ইউক্রেন ভুখণ্ডে যতক্ষণ একজনও জঙ্গি অবশিষ্ট থাকবে, আমাদের জঙ্গিদমন অভিযান চলবে৷ ঘটনাপ্রবাহ দেখে ইউক্রেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জিওফ পায়াট বলেছেন, ‘ইউক্রেন সংকট এখন সবচেয়ে সঙ্গিন৷’

যদিও জঙ্গিদের ক্ষতিই বেশি হয়েছে, ভারি মেশিনগানের গুলি বিনিময়ের শব্দে বোঝা গেল তারা সহজে হঠবে না৷ মঙ্গলবার দোনেত্স্কে একটা হকি স্টেডিয়ামে তারা আগুন লাগিয়ে দেয়৷ পরে অবশ্য দমকলকর্মীরা আগুন আয়ত্তে আনে৷

বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তায় দেখা গেল যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে জঙ্গিদের ব্যবহূত রক্তমাখা ‘কামাজ’ ট্রাক৷ কয়েকটিতে বুলেটের দাগও ছিল৷ রাস্তায় তো বটেই, সাত মিটার উঁচু বিলবোর্ডেও দেখা গেল রক্তের ছোপ৷

দোনেত্স্কের মেয়র অ্যালেকজান্ডার লুকিয়ানচেঙ্কো জনসাধারণকে সাবধান করে বলেছেন তারা যেন বিমানবন্দর এলাকা এড়িয়ে চলেন৷ ইতিমধ্যেই, ন’টি স্কুল এবং দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ রোগীদের অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ তিনি অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ এখনও শহরে ঠিকমতোই আসছে৷

গত তিন মাস ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকার কড়া হাতে দোনেত্স্ক সংকটের মোকাবিলা করেনি৷ কিন্ত্ত সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো প্রথম থেকেই জঙ্গিদের কড়া হাতে দমনের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ রবিবার বিপুল ভোটে জয়লাভের পর তিনি বলেন, ‘অনেকদিন ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি৷ জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না৷ একটা শক্তিশালী সেনা অভিযান হলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে৷’

ধনকুবের পোরোশেঙ্কো চকোলেট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত৷ তার বাণিজ্য সাম্রাজ্য ইউক্রেন থেকে রাশিয়া অবধি বিস্তৃত৷ ক্ষমতায় এসেই তিনি জানিয়েছেন একদিকে তিনি যেমন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার পক্ষপাতী, অন্যদিকে, পশ্চিমি দুনিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনেও তিনি সমান আগ্রহী৷ – সংবাদসংস্থা