উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহ’র মুহুর্মুহু রকেট হামলা

SHARE

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার ইসরায়েলের কিরিয়াত শমোনা এলাকায় এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের কিরিয়াত শমোনা এলাকায় টানা রকেট নিক্ষেপ করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। ওই এলাকায় অন্তত ৯টি রকেট ধেয়ে এসেছে। লেবানন থেকে ছোড়া এসব রকেটের মধ্যে চারটিকে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম। তবে একটি রকেট কিরিয়াত শমোনা এলাকার উন্মুক্ত স্থানে পড়েছে। এতে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আইডিএফ বলেছে, উত্তর ইসরায়েলের টেল তুমরুস এলাকা লক্ষ্য করে লেবানন থেকে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা লেবাননের ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহর অবস্থানে পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে।
এ ছাড়াও ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের মেটুলা, মালকিয়া এবং মানারা শহরে আরও কয়েকটি ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। তবে এসব শহরে হিজবুল্লাহর হামলায় কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা জানায়নি আইডিএফ।
এর আগে, ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তের বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকিতে হামলার দায় স্বীকার করে লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা তিনটি স্থানে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। পাশাপাশি ইসরায়েলি তল্লাশি চৌকিতে গুলিবর্ষণ করেছে হিজবুল্লাহ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে লেবাননে। বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে শত শত বিক্ষোভকারীর সাথে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট আল-মায়াদিন নিউজের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতে ফিলিস্তিন ও ইরানের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শত শত মানুষ। ক্রমবর্ধমান সীমান্ত সংঘর্ষের মাঝে ইসরায়েল এবং লেবানন— উভয় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা কখনও এমন উত্তেজনা অনুভব করেননি। ইরান-সমর্থিত লেবাননের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মাঝে প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে সীমান্তের উভয় পাশের শহরগুলো। এই ভয়ে উভয়পাশের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা ব্যাগ গুছিয়ে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেছেন।