শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্ব মুদ্রাস্ফীতির কবলে : প্রধানমন্ত্রী

SHARE

মুদ্রাস্ফীতি শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্ব এর কবলে পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক কারণে বিদ্যুৎ সংকট ও মূল্যস্ফীতির মতো দেশবাসীর কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে এটা সাময়িক, বেশি দিন থাকবে না।

‍দুঃসহ গরম এবং ভয়াবহ লোডশেডিং প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে যে পরিমাণ গরম পড়ছিল, আজকে সমাপনী অনুষ্ঠানে খেলতে গেলে অনেকের কষ্ট হতো, আল্লাহর মেহেরবানিতে গতকাল এবং আজকে বৃষ্টি হয়েছে। মনে হয় এই বৃষ্টি শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট অগ্রগামী ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত অতি মহামারি করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সবার কষ্ট হচ্ছে। আমাদের সাধ্যমতো আমরা চেষ্টা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই বাংলাদেশ খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, এসব দিক থেকে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে বিশ্ব ধর্ম মর্যাদা নিয়ে সব চলবে, কারণ ৭১ সালে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাব, এ বিশ্বাস থাকলে যেকোনো অসাধ্যকে সাধন করা যায়। আমি মনে করি, খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে নতুন মাত্রা যোগ হলো।

বাংলাদেশ একসময় বিশ্বকাপ খেলবে সেই আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখান থেকেই আমরা একসময় বিশ্বকাপ খেলতে পারব। জয়ীও হতে পারি। সেভাবে মন-মানসিকতা ঠিক রেখে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে উদ্যোগ নিয়ে দেশের সব জায়গায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। এসব স্টেডিয়ামগুলোতে ১২ মাস খেলা যাবে। আমাদের দেশীয় খেলাগুলো যেন আরও বেশি চর্চা হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের যেন চর্চা হয়, আমি সেটাই চাই।

পূর্বাচলে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ হতে যাচ্ছে। তার পাশে আরেকটি ফুটবল স্টেডিয়াম করে দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফি উদ্দিন আহমেদ।