তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোট কাল

SHARE

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপের (রানঅফ) ভোট অনুষ্ঠিত হবে রবিবার (২৮মে)। এদিনই তুর্কিরা নির্দিষ্ট করবেন যে তারা কাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চান। এরদোয়ান কি দুই দশকের ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন নাকি কেমাল কিলিচদারুগ্লু নতুন শুরু করবেন তা জানা যাবে কাল।
গত ১৪ মে নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার আগে ছিলেন এরদোয়ান। তবে সামান্যর জন্য তিনি নির্ধারিত সংখ্যক ভোট পেতে সক্ষম হননি। নির্বাচনে ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে কাছাকাছি ছিলেন কেমাল কিলিচদারুগ্লু। এই দুই জনের মধ্যেই চূড়ান্ত ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থী যেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন, ১৪ মের পর দ্বিতীয় ধাপের জন্য প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটারকে আকৃষ্ট করতে তেমন কিছুই করেননি তারা। এই সময়ে তারা বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন এবং স্বল্পসংখ্যক জনগণের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন।
এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা তুর্কি ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেছেন। সেসব ভোট বাক্সবন্দি হয়ে নিয়মমাফকি আঙ্কারায় পৌঁছে গেছে।
গত বুধবার কূটনৈতিক মিশনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে তিনটি বিমান করে ভোটগুলো তুরস্কে আনা হয়েছে। বিদেশে কাস্ট করা সব ভোট এটিও কংগ্রেসিয়ামে ওভারসিজ ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন বোর্ডে পৌঁছে দেওয়া হবে। রবিবার বিকাল ৫টায় অন্যদের সঙ্গে একযোগে ভোট গণনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল (ওয়াইএসকে) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে থাকা তুর্কিদের মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট দিয়েছেন ১৯ লাখের বেশি মানুষ। প্রথম ধাপে এই ভোট পড়েছিল ১৬ লাখ ৯১ হাজারের বেশি। সেই তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে বেশি ভোট পড়েছে।
ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল (ওয়াইএসকে) বেসরকারী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে বিভিন্ন জরিপে বলা হয়েছে যে, চূড়ান্ত ধাপে এরদোয়ানের জয়ের সম্ভাবনা অনকেটাই বেড়ে গেছে। তিনি ৫৪ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। অপরদিকে কেমালের আশাও শেষ হয়ে যায়নি বলেও অনেকে মত দিয়েছেন। তবে সবকিছু মিলিয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে রবিবার রাত পর্যন্ত।