ইতালি ও ভ্যাটিকান সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

SHARE

গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর এবারই প্রথম ইতালি সফরে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল শনিবার তিনি ইতালি পৌঁছেছেন। কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর এই রোম সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেই সফর করেছেন জেলেনস্কি। কিন্তু ইতালি সফরের বিশেষ গুরুত্ব বুঝতে পারছেন জেলেনস্কিও। রোমে পৌঁছেই একটি টুইট করেছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, ‘আজ রোমে আমি ইতালির প্রেসিডেন্ট সের্গিও মাত্তারেলা, প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি এবং পোপের সঙ্গে বৈঠক করব। ইউক্রেনের জয়ের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর।’
ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে নিজের সম্মতির কথা আগেই জানিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। এ বছরের ৩০ এপ্রিল হাঙ্গেরি সফরে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) একটি উদ্যোগ চলমান আছে, তবে এখনো সেটা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।’
সেদিন এর বেশি কিছু অবশ্য বলতে রাজি হননি পোপ। তাই জেলেনস্কির সঙ্গে পোপের বৈঠকটিও আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে ভ্যাটিকানে রাশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার আভদেবের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল ফ্রান্সিসের। ইতালির সংবাদপত্র ইল মেসাগেরো জানিয়েছে, বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ভ্যাটিকান।
শান্তির জন্য বরাবরই আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন পোন্টিফ। কিন্তু কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রস্তাবটিতে এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এদিকে গুঞ্জন রয়েছে, রোম সফর শেষে জার্মানি সফরে যেতে পারেন জেলেনস্কি। তবে বিষয়টি এখনো কোনো পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
ইউক্রেনে জার্মানির সামরিক সহায়তা
ইউক্রেনকে আরও ৩০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থের সামরিক সহযোগিতা দিতে যাচ্ছে জার্মানি। গতকাল শনিবার জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জার্মানির পক্ষ থেকে এটি এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় সহযোগিতা।
সহযোগিতা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ২০টিরও বেশি মার্ডের ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিক্যাল, ৩০টি লিওপার্ড-ওয়ান ট্যাংক এবং চারটি আইআরআইএসটি-এসএলএম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, ‘আমরা সবাই আশা করি, ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই ভয়ংকর যুদ্ধ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে এমন কোনো কিছু এখনো দৃশ্যমান নয়। এ কারণে যত দিন প্রয়োজন যতটা সম্ভব সাহায্য করে যাবে জার্মানি।’
জার্মানি গত বছরও ইউক্রেনকে দুই বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা দিয়েছিল।