থাইল্যান্ডে ফিরতে চান সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন

SHARE

থাইল্যান্ডের ধনকুবের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা আজ মঙ্গলবার বলেছেন, ২৬ জলাই তার জন্মদিনের আগে স্বেচ্ছায় নির্বাসন থেকে তিনি দেশে ফিরতে চান। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে পোস্ট করা এক টুইটার বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
৭৩ বছর বয়সী এই টেলিকম টাইকুন বলেন, তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দুর্নীতির অভিযোগ এড়াতে গত ১৭ বছর দেশের বাইরে কাটানোর পর বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি দুইবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাচ্যূত হন।
থাইল্যান্ডে রোববারের নির্বাচন নিয়ে চালানো অধিকাংশ মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে, থাকসিনের কন্যা পায়েতংতার্নের নেতৃত্বে দেশটির বিরোধী দল পিউ থাই পার্টি এগিয়ে রয়েছে। থাইল্যান্ডে ফিরে আসার ব্যাপারে একাধিকবার দেওয়া প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে তিনি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেন বলে জল্পনা-কল্পনা চলছে।
তিনি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমি আমার জন্মদিনের আগে জুলাই মাসে আমার নাতি-নাতনিদের প্রতিষ্টিত করার জন্য বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পায়েতংতার্ন গত ১ মে তার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আর এ সন্তান থাকসিনের সপ্তম নাতি।
তিনি টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘আমি প্রায় ১৭ বছর ধরে আমার পরিবার থেকে দূরে রয়েছি। বর্তমানে আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ।’
থাকসিনের গৃহীত কল্যাণমূলক বিভিন্ন নীতিমালা থেকে উপকার পাওয়া থাইল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলের লাখো দরিদ্র মানুষের কাছে থাকসিন এখনো গভীর শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু দেশটির রাজকীয় সামরিক অভিজাত শ্রেণির কাছে তিনি ঘৃণার পাত্র।
থাকসিন বলেছেন, ‘আমি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করব। তিনি টুইট বার্তায় বলেছেন দেশে এখনো জেনারেল প্রয়্যুতের অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ শাসন করছে।’
২০০১ সাল থেকে থাইল্যান্ডের প্রতিটি নির্বাচনে থাকসিনের সঙ্গে যুক্ত দলগুলো বেশিরভাগ আসন জিতেছে। কিন্তু দুই প্রধানমন্ত্রীকে সামরিক অভ্যুত্থানে এবং আরেকজনকে আদালতের রায়ে হারিয়ে দেওয়া হয়।
তাদের মধ্যে থাকসিনের ছোট বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রাকেও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সামরিক জান্তা।
খবর এএফপি